নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে আপন ভাতিজা ও তাদের লোকজনের অস্ত্রাঘাতে আহত ওসমান গণী(৫৫) অবশেষে মারা গেছে। ৩দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ওসমান গণির মৃত্যুর সংবাদ মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে হাসপাতাল থেকে লাশ নেয়ার পর বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে স্থানীয় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন ও বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমানের যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে এলাকাবাসী তাদের অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে।
সূত্র মতে, উপজেলা ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল গ্রামের মৃত শহর আলীর দুই ছেলে রুহুল আমিন ওরফে আমিন ও ওসমান গনির সঙ্গে গত দুই বছর ধরে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্ধ চলছিল। ৭/৮ মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে সালিশ মিমাংসা করে দেয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ও গ্রাম্য মাতবরা। এর মধ্যে অসাধু গ্রাম্য মাতবর ছোবহানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা বড় ভাই আমিরের পক্ষ নিয়ে ওসমান গনির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। সালিশ বিচার মানতে নারাজ আমিন। এ নিয়ে গত সোমবার সকালে আমিন ও ওসমান গনি দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমিন ও তার স্ত্রী সাফিয়া, দুই ছেলে মিন্টু, শহিদুল ইসলাম, মেয়ে রোমানা,স্ত্রীর সাফিয়ার ভাতিজা হানিফা, বোনের ছেলে রাজু ও মামাতো ভাই ছোবহানসহ আরও ৪/৫ জনকে নিয়ে রাস্তা ওৎ পেতে থাকে। এসময় ওসমান গনি বাড়ির সামনে এসে পৌঁছলে হত্যার উদ্দেশ্যে গরু জবাই করার ধারালো ছুরি, গার্মেন্টের সুতা কাটার নাইফ ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকলে ওসমান গনির চিৎকারে তার স্ত্রী লাখি ও দুই মেয়ে শারমিন, ইতি বাড়ি থেকে ছুটে আসলে তাদেরও মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়।
স্ত্রী ও দুই মেয়ের আতœচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ওসমান গনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম জানান,ঘটনায় জড়িত এজাহার ভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।