বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্যাটারী চালিত রিকশার চাঁদা উত্তোলণকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের বিরোধের ঘটনায় থানায় ডায়েরী হয়েছে। রোববার দুপুরে বন্দর থানা অটোরিকশা মালিক সমিতির সুপার ভাইজার মোঃ সোহেল বাদী হয়ে হিমেল খানকে আসামী করে ওই ডায়েরীটি করেন। যার নং ৭০। এ ব্যাপারে বন্দর থানা অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি তথা বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাইনুদ্দিন মানু জানান,আমরা বন্দর থানা ব্যাটারী চালিক অটোরিকশা মালিকরা বিগত ২০১৪সালে বন্দর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার মাধ্যমে সররকারি নিয়মানুযায়ী নিবন্ধনকৃত বন্দর থানা অটোরিকশা মালিক সমিতির কমিটি গঠন করে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দৈনিক হারে সদস্যদের চাঁদা উত্তোলণ করে আসছি। যা অদ্যাবধি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি জনৈক হিমেল খান নিজেকে সিটি কর্পোরেশনের অটোরিকশার শুলক্ আদায়ারে ইজারাদার দাবি করে আমাদের সদস্য চাঁদা উত্তোলণে বাধা সৃস্টি করে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ১০টায় আমাদের সমিতির সুপারভাইজার সোহেল প্রতিদিনের ন্যায় সদস্য চাঁদা উত্তোলন করতে গেলে হিমেল খান তাতে বাধা সৃস্টি করে এবং হুমকি প্রদান করে। যে কারণে জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে সুপারভাইজার বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন যে,জনৈক হিমেল খান সিটি কর্পোরেশনের কোন ইজারদার নন,ইজারাদার মূলত রিপন নামে জনৈক ব্যাক্তি। প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে হিমেল সাধারণ লোকজনকে জিম্মি করে আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত হিমেল খানের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,২২নং ওয়ার্ডের অটোরিকশা ইজারাদার আমি। এক জায়গায় দুই ধরণের চাঁদা উত্তোলন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। তারা সমিতির সদস্যদের চাঁদা তাদের অফিসের সামনে থেকে আদায় করুক। এখানে সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইজারাদার ব্যাতিত অন্য কারো চাঁদা উত্তোলণের এখতিয়ার নেই।