বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে পুকুরে কীটনাশক দিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ লোকমান ও সোর্স আমান উল্লাহ আমান, করিম ও লোক্কুদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডস্থ কদমতলী এলাকায় ঘটেছে। গত বুধবার রাতে প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মৎস্য খামার মালিক গোলজার হোসেন জানান। বৃহস্পতিবার সকালেই খামার মালিকের ভাতিজা তাজুল বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যান বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল আলীসহ ফোর্স। একই সময় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ ঘটনাস্থলে যান এবং দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্যাক্তির সাথে কারো আক্রোষ থাকতে পারে। মাছ কি করেছে। অপরাধী যেই হোক কঠোর হিসাব দিতে হবে। এখানে ৩ পক্ষ কাজ করছে। দু’গ্রুপকে লাগিয়ে নিজেদের ফয়দা লুটছে আবার চেষ্টা করছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সূত্র মতে, বন্দরের কাইতাখালী এলাকার মৃত মোঃ আলীর ছেলে গোলজার হোসেন একজন মৎস্য চাষী। বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডস্থ কদমতলী করিমের বাড়ির পাশে পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬ কেজি রেনু পোনা মাছ ছাড়ে। ৬ কেজির রেনু পোনা ৩/৪ লাখ মাছ হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে বলে গোলজার হোসেন জানান এবং অভিযোগে প্রকাশ করেন।
গোলজার হোসেন বলেন, আমার ৮ টি পুকুরে মাছ আছে। কদমতলী এলাকায় আমার পুকুর করতে বাধা দেয় এবং মাসিক হারে টাকা দাবী করেন সোর্স লুৎফর রহমান, করিম। একই এলাকার আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকার জামায়াত ইসলামীর অর্থ যোগানদাতা লোকমানের নির্দেশে আমার কাছ থেকে টাকা চায়। মাছের চাষ করে সংসার চালিয়েও চাঁদা দিতে হবে তাদের। দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় আমাকে মারধর করে। গত সোমবার কদমতলী এলাকায় বিচার শালিশ চলাকালে জামায়াত ইসলামীর অর্থ যোগানদাতা লোকমান, তার ছেলে রাকিব, বিএনপির করিম ওরফে গরু করিম, কদমতলী এলাকার পুলিশের সোর্স আমান উল্লাহ আমান, লুৎফর রহমান লক্কু, রহমান, রাজিব, খালেক মিয়ার ছেলে অপু, দিপুসহ ২০/৩০ জন লাঠিশোঠা নিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় বিচারকসহ ১০/১৫ জন গুরুতর আহত হয়। বন্দর উপজেলা স্থাস্ব্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হামলাকারীরা গোলজার হোসেন, কাইতাখালী এলাকার মোঃ আলীর ছেলে গোলাপ (৪৫), তাজুল ইসলাম (৩১), নয়ন (২০), শামীম (২৭), বিচারক সাত্তার, লতিফ, আয়নাল সিকদার, রাজ্জাক সিকদারসহ ১০/১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেন। হামলাকারীরা গোলজার হোসেনের সাথে থাকা ১৭ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায় বলে অভিযোগে প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় আহত গোলজার হোসেন, গোলাপ হোসেন ও তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক ৩ টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার রাতে ৩ টি পৃথক অভিযোগ করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে লোকমান, আমান, করিম, লক্কুরা বাদীদের অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে হুমকি দেয়। এর জের ধরেই তারা আমার পুকুরে কীটনাশক দিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার রেনু পোনা মাছ মেরে ফেলেছে। পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল আলীম, বলেন পুকুরে মাছ মরে ভেসে আছে। কীটনাশক জাতীয় কোন বিষক্রিয়ার ফলে মাছ মরতে পারে।
বন্দর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদোসী আক্তার জানান, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে গোলজার হোসেন। আমি অসুস্থ বিধায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। তবে ওই পুকুরের পানি পরীক্ষা করে বিষক্রিয়ার প্রমান হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একারণে গোলজার হোসেন নিঃশ্ব ও অসহায় হয়ে পড়েছে।