বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে পূর্ব বিরোধের জেরে বন্ধুদের অস্ত্রাঘাতে নিহত ডক শ্রমিক ফয়সালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ আছর নবীগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় বাগে জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেও ফয়সালের হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাাসী। জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লীরা ফয়সাল হত্যাকারীদের আশু গ্রেফতারপূরর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে গঠনমূলক বক্তব্য প্রদান করে। প্রতিবাদ সভায় নবীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এর আশ পাশের সর্বস্তরের মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করে নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন। একই সাথে তারা আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশকে যে কোন সহায়দতার আশ্বাস দেন। ব্যবধানে আবারও খুনের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র মতে,নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্নবর্তী শান্তিবাগ এলাকার আব্দুর রশীদ মিয়ার ছেলে ডকইয়ার্ড শ্রমিক ফয়সালের সঙ্গে নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড় এলাকার মনির হোসেনের বখাটে পুত্র সাজেনের সম্প্রতি ঈদ আনন্দ মেলা নিয়ে বিরোধ ছিল। শুক্রবার ওই বিরোধের জের ধরে সাজেন মোবাইল ফোনে তাকে বাড়ি থেকে নেয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাজেন,তার বন্ধু রিয়াদ,ঢয়সাল(১),ফয়সাল(২),হাকিম,আদর ও জাহিদসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ফয়সালের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ফয়সাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা প্রথমে তার ডান পায়ের উরুতে কোপ দেয়। এরপর এলোপাথাড়িভাবে তাকে কোপাতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। প্রাণে বাঁচতে ফয়সালও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলকারীদের কয়েকজনকে কোপায়। পরে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের ফলে অবস্থা বেগতিক বুঝে ফয়সাল ঘটনাস্থল হতে বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে তাদের বাড়ির অদূরবর্তী টি হোসেন গার্ডেনের সামনে এসে চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন তাকে দ্রুত ধরাধরি করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় মদনগঞ্জ পিএম রোড এলাকার হাফেজ ওমর আলীর ছেলে তথা সিনিয়র আইনজীবি রবিন মাহমুদের বাড়ির কেয়ারটেকার আতাউর রহমান আতাবুর(৪৪)কে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একই এলাকার ওসমান গণির বখাটে পুত্র মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাবু ওরফে বেগম বাবু স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ১শ’ গজের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।