বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অষ্টাদর্শী শ্যালিকাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে লম্পট দুলাভাই। গত ২৮ মে রাতে থানার বন্দর কলাবাগ বাসষ্ট্যান্ডস্থ সোবহান ওরফে পরান বাবুর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার ২০দিন পর সোমবার সকালে ধর্ষিতা(১৮) বাদী হয়ে লম্পট দুলাভাইসহ ২জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) আইন ৯(১) ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭(২) ধারায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৫(৬)১৭ইং। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক মুরাদ ও তার সহযোগী ফয়সাল(২২)কে গ্যেফতার করেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হচ্ছে ঘারমোড়া এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে মুরাদ(৩০)এর সঙ্গে সুদূর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন পশ্চিম কাউয়াদী এলাকার আবদুল কাদের দেওয়ানের বড় মেয়ের ৭ বছর পূর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিগত ১মাস পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যতা হলে বাদীনীর বড় বোন তার বাড়িতে বসবাস করে। বিবাদী মুরাদ তার ছেলে আরাফাত(৫)কে দেখার জন্য মাঝে মধ্যে ওই বাড়িতে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে মুরাদ আরাফাতের জন্য জামা-কাপড় কিনেছে এবং তা নেয়ার জন্য শ্যালিকা(১৮)কে বন্দর বাসষ্ট্যান্ডস্থ সোবহান ওরফে পরান বাবুর দোতলা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর অষ্টাদর্শী বাড়ির লোকজন কোথায় জানতে চাইলে মুরাদ তাকে ঘরে আটক করে ধর্ষণের জন্য ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে বাদীনী অজ্ঞান হয়ে পড়লে বিবাদী তার সহযোগী ফয়সালের সহযোগিতায় শ্যালিকা(১৮)কে ২ দি আটক রেখে ধর্ষণ করে এবং তার সহযোগী ফয়সাল তা মোবাইলে ধারণ করে। ২দিন পর অষ্টাদর্শীর জ্ঞান ফিরে এলে বিবাদীরা মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখিয়ে তাকে ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে হুজুর টাইপের লোক এনে বিয়ে করে। এরই মধ্যে গত ১৫জুন অষ্টাদর্শী ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি তার আতœীয় স্বজনদের অবহিত করলে। লম্পট মুরাদ ভিডিওটি যুবতীর স্বজনদের মোবাইলের ইমুতে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে যুবতী বাধ্য হয়ে সোমবার বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।