বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শুক্রবার বিকেলে বন্দরের পশ্চিম কেওঢালায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আহত দোকানদার শফিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর ১২ঃ৩০ মিনিটে দোকানদার শফিকের কাছে একটি ১০-১২ বছরের ছোট ছেলে সিগেরেট কিনতে এলে, শফিক তার কাছে সিগেরেট বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বলে আমি বাচ্চাদের কাছে সিগেরেট বিক্রি করিনা কারণ এটা ভাল জিনিস নয়। তখন বাচ্চাটি চলে যাবার পর ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দোকানের সামনে এসে শফিকের চাচাতো ভাই মুকবুল হোসেনকে মারধর করে। সেখানে স্থানীয়রা মধ্যস্থতা করে তাদেরকে সড়িয়ে দেয় এবং একটু পর স্থানীয় সুজা মিয়ার ছেলে মোস্তফা ও শফিক, মাহমুদ আলী, আরমান, মাসুম, সৈকত সহ আরও ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শফিকের দোকানে হামলা চালায়, দোকানের মালামাল লুটপাট সহ দোকানে মারাত্মক ভাংচুর চালায়, এরপর পাশেই নির্মানাধীন ভবনে সকল জানালার গ্লাস, থাই গ্লাস এবং ভিতরের পুরাতন বাড়িতে প্রায় ৫-৬টি ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ মহিলা, শিশু, গৃহিনীদের এলোপাথারী মারপিট ও সকল ঘরের জানালার গ্লাস, আসবাবপত্র, টিনের বেড়া, দরজা, জানালা, ফ্রিজ, আলমারি সহ ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। জুমআর নামাজ চলতে থাকায় স্থানীয়রা নামাজে ব্যস্ত থাকায় তারা দাপটের সহিত অসহায় বৃদ্ধ, শিশু সহ মহিলাদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া ভূক্তভোগী শফিক আরও জানান তারা আমার দোকানে ভাংচুর চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমার দোকানে মাল আনতে যাবার জন্য রাখা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও জোর করে ক্যাশ থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে স্বর্ণলংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়। তাদের হামলায় মকবুল হোসেন, পিতাঃ ফজলুল হক, শফিক ও হাজ্বী মনির, পিতাঃ মৃত আঃ রহমান, জাহাঙ্গির হোসেন, শফিকের বোনের জামাই সাঈদুর রহমান, শফিকের স্ত্রী রেনু বেগম, শফিকের চাঁচা ফজলুল হক, ভাগিনা ইসমাইল সহ বাড়ির বয়স্ক মহিলা ও ভাড়াটিয়াদেরও মেরে আহত করা হয়েছে। বাড়ির গৃহিনীদের ও ছোট বাচ্চাদেরকে উঠানে ফেলে পাষন্ডের মত পিটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। এদিকে তারা এ হামলায় লোহার রড, লাঠি, ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প ও দেশীয় বিভিন্ন অ¯্র ব্যবহার করেছে বলে জানান ভূক্তভোগীরা। তাদের মধ্যে হাজ্বী মনিরকে মাথায় লোহা দিয়ে আঘাত করায় তার কান দিয়ে ব্যাপক রক্তপাত হওয়ায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে আইসিইউ এ তে রাখা হয়েছে যার অবস্থা আশংকাজনক। অপরদিকে ভাগিনা ইসমাইলকে মেরে তার বেশীর ভাগ দাত ফেলে দেয়া হয়েছে, যা কেওঢালায় নির্মিত শফিকের বাড়িতে প্রতিটি তলায় রক্তের চিহ্ন ও মদনপুরে ঈশাখা হসপিটালে গিয়ে তার পরিহিত লুঙ্গি রক্তে ভেজা অবস্থায় দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের মধ্যে মারাত্মক আহত অবস্থায় ৪ জন মদনপুরের ঈশাখা হসপিটালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে। ২০১৫ সালেও ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটেছিল এবং সেখানেও শফিকের পরিবারকে মারাত্মকভাবে ঝখম করা হয়েছিল। এ অবস্থার পরিত্রান চান ভূক্তভোগী শফিক ও তার পরিবার। এ রিপোর্ট লিখার সময় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান ভূক্তভোগী শফিক।