বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরের ডক শ্রমিক ফয়সাল খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম হোসেন(২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত সাদ্দাম নবীগঞ্জ টি হোসেন রোডস্থ নোয়াদ্দা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। এই সাদ্দাম হোসেনই ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। সোমবার রাতে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাদ্দামকে আটকের কথা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম জানান,সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে মামলার তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছেনা। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সূত্র মতে,নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্নবর্তী শান্তিবাগ এলাকার আব্দুর রশীদ মিয়ার ছেলে ডকইয়ার্ড শ্রমিক ফয়সালের সঙ্গে নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড় এলাকার মনির হোসেনের বখাটে পুত্র সাজেনের সম্প্রতি ঈদ আনন্দ মেলা নিয়ে বিরোধ ছিল। শুক্রবার ওই বিরোধের জের ধরে সাজেন মোবাইল ফোনে তাকে বাড়ি থেকে নেয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাজেন,তার বন্ধু রিয়াদ,ফয়সাল(১),ফয়সাল(২),হাকিম,আদর ও জাহিদসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ফয়সালের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ফয়সাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা প্রথমে তার ডান পায়ের উরুতে কোপ দেয়। এরপর এলোপাথাড়িভাবে তাকে কোপাতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। প্রাণে বাঁচতে ফয়সালও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলকারীদের কয়েকজনকে কোপায়। পরে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের ফলে অবস্থা বেগতিক বুঝে ফয়সাল ঘটনাস্থল হতে বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে তাদের বাড়ির অদূরবর্তী টি হোসেন গার্ডেনের সামনে এসে চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন তাকে দ্রুত ধরাধরি করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় মদনগঞ্জ পিএম রোড এলাকার হাফেজ ওমর আলীর ছেলে তথা সিনিয়র আইনজীবি রবিন মাহমুদের বাড়ির কেয়ারটেকার আতাউর রহমান আতাবুর(৪৪)কে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একই এলাকার ওসমান গণির বখাটে পুত্র মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাবু ওরফে বেগম বাবু স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ১শ’ গজের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।