বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি বাড়িতে দিপালি রানী নামে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় নিহতের স্বামীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে বন্দর উপজেলার লেজারার্স আবাসিক এলাকার কাউসারের বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে কাউসারের ভাড়াটিয়া বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ঘটে। নিহত দিপারি রানী দাসের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিহতের মেয়ে মলি দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হচ্ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ও ছোট বোন অথৈ বিয়ে বাড়িতে যাই। সে কারণে ঘরের বাইরে দিয়ে ছিটকেরি লাগিয়ে চলে যাই । রাত প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে বাড়িতে ফিরে বৈদ্যুতিক বাতি না জালিয়ে দু’বোন খাটে ঘুমিয়ে পড়ি। আর বাবা-মা প্রতিদিনের মত নিচে বিছানা পেতে শুয়েছিল। শুক্রবার সকাল আট টায় ঘুম ভাঙলে উঠে দেখি মায়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে । তার শরীরে অনেকগুলো কোপের ক্ষত রয়েছে। এর পাশেই বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। কাছে গিয়ে দেখতে পাই তার নিঃশ্বাস চলছে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
হত্যার সাথে বাড়ির কেয়ারটেকার জড়িত রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই বাড়ির বাড়িওলার বোন ফরিদা বেগম কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার সাথে প্রায় সময় মায়ের ঝগড়া-ঝাটি হতো। বুধবারও রান্না করা নিয়ে ফরিদার সঙ্গে নিহতের ঝগড়া হয়েছে। এই ঝগড়ার রেশ ধরে ফরিদা বেগম ও তার স্বামী মিলে আমার বাবা-মাকে কুপিয়েছে। মা বাড়িতে মারা গেছেন। আর বাবা হাসপাতালে আহত অবস্থায় এই ঘটনার কথা স্বীকার করে আমাদের জানিয়েছে। আমি আমার মায়ের খুনিদের বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী কে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে। এটি একটি হত্যাকান্ড। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।এই ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।