বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে ব্যবসায়ী হাজী কুতুবউদ্দিন আহাম্মদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সোনাকান্দা এলাকাবাসী। মরহুমের ছোটভাই বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেনের সভাপতিত্বে স্থানীয় ডকইয়ার্ডের প্রধাণ ফটকের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চৌধূরী,যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান,নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব সানাউল্লাহ সানু,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ ইয়াছিন মিয়া,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ,হুমায়ূন কবীর এলিন,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আহসানউল্লাহ মৃধা,বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম আহমেদ,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন নূর,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেজওয়ানা হক সুমি,বন্দর উপজেলা পরিষদের নারী সদস্য সখিনা বেগম মেম্বার,বন্দর পৌর বিএনপি’র সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সানোয়ার হোসেন,বন্দর পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জালালউদ্দিন জালু,সোনাকান্দা মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মজিবুর রহমান মাষ্টার,তাজ মোহাম্মদ,মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ভূইয়া,মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম,সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোঃ আলমগীর হোসেন(এমএসসি),রফিকুল ইসলাম কাইয়ূম,মোঃ শাহজাহান,বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু,সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল,যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান বলাই,বন্দর থানা সিএনজি মালিক সমিতি’র সভাপতি ফিরোজ আল মুজাহিদ দুলাল,বন্দর থানা শ্রমিকলীগ নেতা মাহাবুব চৌধূরী,নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাসুমা আক্তার,২১ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মায়ানূর আহমেদ,দড়ি সোনাকান্দা পঞ্চায়েত কমিটির কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হোসেন,রূপালী আবাসিক এলাকা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম,সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ রহমতউল্লাহ.মোহাম্মদ হোসেন মুন্না,২০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুল হক জিসান,২১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিশুক প্রমুখ। মানবন্ধনপূর্বক সমাবেশে নূরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,আগামী ৭দিনের মধ্যে হাজী কুতুবউদ্দিন আহাম্মদ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে মদনগঞ্জ হতে মদনপুর পর্যন্ত এমনকি হাইওয়ে সড়কও অচল করে দেয়া হবে। কোন যানবাহন চলতে দেয়া হবেনা। আমরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়া স্বত্ত্বেও আমাদের ভাইকে নিজ বাড়িতে খুন হতে হবে আবার খুনীদের গ্রেফতারে গড়িমসি তা কোনক্রমেই বরদাশতঃ করা যায়না। জিএম আরমান বলেছেন,থানার এত নিকটে একটা খুন হওয়ার পরও প্রশাসন হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেনা তা বোধগম্য হচ্ছেনা। আওয়ামীলীগ নেতা ভাইকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যার পরও প্রশাসন নিশ্চুপ বিষয়টি প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের গোচরে আসা উচিত। সানাউল্লাহ সানু বলেন,হাজী কুতুবউদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮৭ সালে একবার তাতে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল,এবার ঠিকই করলো নৃশংসভাবে। এ হত্যাকান্ড আকাশের তারার মতো পরিস্কার কারা হত্যা করেছে..? কিছুদিন আগে যারা ৪ভাইয়ের ১ভাইকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছিলো সেই তারাই নিরীহ এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ হাজী কুতুবউদ্দিনকে হত্যা করেছে। যে কোন মুল্যে তারেকে আইনের আওতায় না আনা হলে সোনাকান্দা এলাকার কারো জীবনই নিরাপদ থাকবেনা। সভাপতির সমাপণী বক্তব্যে আবেদ হোসেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,আমার ভাইকে হত্যা করেছে ওই খুনী আজিজুল। আমি তাকে সারাজীবন বলে এসেছি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বলে যাবো সে একটা খুনী খুনী খুনী। ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। পঞ্চায়েত কমিটি,মসজিদ কমিটি এবং মাদ্রাসা কমিটির সবাই তার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছে। আবেদ হোসেন আরো বলেন,আজিজুলের মতো খুণীকে এই সোনাকান্দা কবরস্থানে দাফন দিতে দিবোনা। এর আগে আমি যদি মরেও যাই আপনারা যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ করছি তাকে এই কবরস্থানে দাফন দিতে দিবেননা। শুধু তাই নয়,এই খুণীকে সোনাকান্দায় বসবাস করতে দিবনা। ওর বাড়ি কলাগাছিয়া এখানে কেন আসে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে সোনাকান্দায় এসে কেন অশান্তি করে। এলাকাবাসীর শান্তি কেন কেড়ে নিতে আসে। আমি বলতে চাই,ওকে যেখানে দেখবেন মারধর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন।