বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে দুধ বিক্রেতা ওসমান গনি হত্যাকান্ডের ৯ মাস পর আতœসমর্পন ৫ আসামীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমদাদ আদালতে এ রিমান্ডের আবেদন করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকার পর আসামী রুহুল আমিন ওরফে আমিন, আমিনের স্ত্রী সাফিয়া, ছেলে মিন্টু, শহিদুল ও মেয়ে রোমানা বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে আতœসমপন করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে ওসমান গনিরকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির উঠানে তার বড় ভাই রুহুল আমিন ওরফে আমিন, আমিনের স্ত্রী সাফিয়া, ছেলে মিন্টু, শহিদুল, মেয়ে রোমানা, সাফিয়ার বোনপো রাসেল, ভাইপো হনিফা ও ফুফাতো ভাই সোবান ওরফে বেনসন সোবান মিলে এলোপাতারি ভাবে ধারালো ছুরিকাঘাত করে। ভাই ভাবি ও ভাতিজা-ভাতিজির ছুরিকাঘাতে ওসমান গনি গুরুতর আহত হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থা অবনতি দেখা দিলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ দিন আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওসামন। ঘটনায় ৫দিন পর নিহত ওসমান গনির ছেলে (নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সহকারী) ইব্রাহিম সুমন বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনার এজাহারভূক্ত আসামী সোবান ওরফে বেনসন সোবান ও হানিফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকেই আমিন ও তার পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৯ মাস পালাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে রুহুল আমিন ওরফে আমিন, আমিনের স্ত্রী সাফিয়া, ছেলে মিন্টু, শহিদুল ও মেয়ে রোমানা আতœসমন করে। জেলহাজতে থাকা আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমদাদ ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল রোববার আদালতে একটি আবেদন করেন।