বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে অটোচালক সোহান হত্যাকান্ডের আসামী পাগলা শাহীনের খালাত ভাই বখাটে সুমন নিহাদ(১৩)নামে এক কিশোরকে কুপিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল ৩টায় থানার শাহীমসজিদ’স্থ ঠাকুরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত কিশোর নিহাদ শাহীমসজিদ ঠাকুরবাড়ী এলাকার মোঃ কবির হোসেনের ছেলে। আহত নিহাতকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার উত্তেজিত জনতা সুমনের বাড়ী আক্রমন করার খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুমনের বাড়ীর দরজা বন্দ করে ঘেরাও করে রাখে। শতশত জনতার মাঝে পুলিশ সুমনের বাড়ীর সদস্যদের আটক করেও বের করতে না পারায় বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়ে। পরে ওই এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর হান্নান সরকার ও যুবকদের সহায়তায় পুলিশ সুমনকে না পেয়ে তার পিতা মোঃ কুদরত আলী ব্যাপারী ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে নিহত অটোচালক সোহানের পিতা আলী হোসেন জানান,সুমনের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি জামার কাপড় কিনেছিল আমার ছেলে সোহানের স্ত্রী। মাত্র ৬০টাকা পাওনা ছিল সুমনের স্ত্রী। এই টাকা নিয়ে প্রায়ই সুমনের স্ত্রীর সাথে সোহানের স্ত্রীর জগড়া হত। এর ধারাবাহিকতায়,কিছুদিন পূর্বে সুমন ও তার পরিবার আমার পুত্রবধুকে গালমন্দ করলে আমার ছেলে সোহান প্রতিবাদ করে। তখনই আমার ছেলে সোহান ও সুমনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সুমন আমার ছেলে সোহানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ছেলেকে সুমন তার খালাত ভাই পাগলা শাহীনগং দ্বারা খুন করে। আমার ছেলে সোহানকে হত্যা করিয়ে ক্ষান্ত হয়নি আরো দুটি খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার বিকাল ৩টায় আমার ভাগিনা নিহাদকে জখমের মধ্য দিয়ে। সুমনের পরিবার একটা খুনি পরিবার। আমি ছেলে সোহানকে হত্যার হুকুমদাতা এই সুমন। আমি এর সঠিক বিচার চাই প্রশাসনের কাছে। এদিকে সুমনের পরিবারকে আটক করে থানায় নেওয়ার পরপরই উত্তেজিত জনতা সুমনের বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। নিহাদ জখমের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলার প্র¯ুÍতি চলছে।