নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে শীঘ্রই গঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বন্দর থানা কমিটি। বিগত সময়ে বন্দরের কদমরসুল পৌর এলাকার তৎকালীন ৪টি ইউনিয়ন শহর কমিটিতে অন্তর্ঃভুক্ত থাকলেও সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর ৪টি ইউনিয়নকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করায় বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে মহানগর কমিটির পাশাপাশি বন্দরে পৃথক থানা কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে দলীয় একটি সূত্র জানায়। বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শুরু করা হয়েছে। দুর্দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে-ময়দানে নিরলসভাবে ভূমিকা রেখে চলেছে কেবল তাদেরকে নিয়েই গঠন করা হবে এ কমিটি। পূর্বেকার থানা যুবলীগের কর্মকান্ড দলে অনেকটা ম্লান সৃষ্টি করায় সে সকল নেতা-কর্মীকে রেডমার্ক করা হয়েছে বলেও ওই একই সূত্র জানায়। এদিকে থানা কমিটি গঠন হওয়ার আগে শেষ করা হবে মহানগরের বন্দর কেন্দ্রিক ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন। বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ইতোমধ্যে অনেকেই জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ের জরিপ অনুযায়ী ওয়ার্ডগুলোতে পদ দখলের জন্য অনেকটা তৎপরতা চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জে আনোয়ার জওদাদ শিশির,হাজী মানিক মাহমুদ,মোঃ বাবুর নাম শোনা যাচ্ছে। ২০ নং ওয়ার্ডের মাহমুদনগর এলাকায় মহসিন জালাল মনি,দড়ি সোনাকান্দা এলাকার সাব্বির হোসেন মাসুম,মোঃ সুমন সোনাকান্দা এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান বলাই,সাইফুল ইসলাম,আশরাফুল ইসলাম বাবু,২১ নং ওয়ার্ডের বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার সামসুল হাসান,শেখ মাঈনুদ্দিন মানু,রূপালী এলাকার জুয়েল মাহমুদ,সালেহনগরের রেজাউল করিম রাজা,সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া এলাকার শাখাওয়াত আশরাফ,খুরশিদ আলম,সাইফুল ইসলাম,২২ নং ওয়ার্ডের বন্দর খান বাড়ীর খান মাসুদ,শফিউল্লাহ মিয়া বাবু,বাড়ইপাড়ার এস এ রানা,শেখ মমিন,বাবুপাড়ার জাকির হোসেন,সুকমল চন্দ্র দে,২৩ নং ওয়ার্ডে নবীগঞ্জ সাবেক পৌরসভা একরামপুর এলাকার মাহাবুবুর রহমান কমল,শাহনেওয়াজ রাহাত,সাইদুজ্জামান শাকিল,বাগবাড়ী’র ফারুক প্রধাণ,কবরস্থান রোড এলাকার রানা প্রধাণ,২৪ নং ওয়ার্ডে নবীগঞ্জ বাজার এলাকার ফারুক আহমেদ জনি,দেলোয়ার হোসেন,২৫ নং ওয়ার্ডে রুহুল আমিন,সৈয়দ আহাম্মদ,এস এম হুমায়ূন.মোঃ হালিম,২৬ নং ওয়ার্ডে রামনগর এলাকার ধামগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু সোনাচড়া এলাকার থানা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম হোসেন,এবং ২৭ নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকার মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোঃ আমান,থানা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম,মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,মোঃ আমান,রফিকুল ইসলাম। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে,উল্লেখিত ওয়ার্ডগুলোর সম্ভাব্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা অন্যান্য পদে আসীন হওয়ার জন্য যারা জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় সময়ই দলের বিগত আন্দোলন সংগ্রামে প্রতিটি কর্মসূচীতেই যাদেরকে দেখা যায় তাদের মধ্যে খান মাসুদ,রেজাউল করিম রাজা আনোয়ার জওদাদ শিশির,মানিক মাহমুদ,সামসুল হাসান,মাইনুদ্দিন মানু,আবু বকর সিদ্দিক,জুয়েল মাহমুদ,শেখ মমিন,এস এ রানা,মাহাবুবুর রহমান কমল,সাইদুজ্জামান শাকিল,ফারুক প্রধাণ,রানা প্রধাণ,সৈয়দ আহাম্মদ,আনোয়ার হোসেন আনু, মোঃ আমান,রফিকুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম অন্যতম। এদের মধ্যে খান মাসুদ ও রেজাউল করিম রাজাকে থানা যুবলীগের কমিটিতে অর্ন্তঃভূক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে মহানগর যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য বন্দরের নেতাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,বন্দর পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল ইসলাম,মোয়াজ্জেম হোসেন নূর,সামসুল হাসানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে বর্তমানে মাঠে-ময়দানে থাকা নেতৃবৃন্দরা চায় সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে বন্দর থানা যুবলীগ পূনরুজ্জীবিত হউক। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান,সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর সদর-বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। মূলতঃ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি যেইভাবে হবে ওয়ার্ড কমিটিগুলো অনুরূপভাবেই হবে। যেহেতু সিটি কর্পোরেশন হয়েছে সেহেতু থানা কমিটি গঠনের কোন সম্ভাবনা নেই। কেউ বলে থাকলে এটা বানানো হবে বলে আমার মনে হয়। তবে বন্দর এলাকার মদনগঞ্জ-টু-মদনপুর সড়কের পূর্ব এবং পশ্চিম প্রান্ত নিয়েই থানা কমিটি ছিল সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর তা বিভক্ত হওয়ায় এই অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ দাবি করলে হয়তোবা পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত নিয়ে থানা কমিটি’র প্রস্তাব রাখতে পারে। শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু’র সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,যতদূর জানি শীতলক্ষ্যার পূর্বপাড়ের সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড আগে হবে তারপরে থানা কমিটি গঠনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আগে মহানগরের আহবায়ক কিংবা কার্যকরি কমিটি অনুমোদন হউক ওয়ার্ড কমিটিতো পরের বিষয়। মহানগর যুবলীগে থাকার ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইচ্ছাতো অবশ্যই আছে বাকীটা সকলের দোয়া।