নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মধ্যে ৩টিতে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে দুটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সহ ধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান বিভিন্ন জনসভায় যাদের জন্য ভোট প্রার্থনা করে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে ৩ জন লাঙ্গল এবং ১ জন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তারা প্রত্যেকেই টানা দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ও ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সেলিম ওসমান বলেছেন, এ নির্বাচন আমার প্রতি বন্দরের মানুষের ভালোবাসার বহি:প্রকাশ। বন্দরের মানুষ প্রমান করে দিয়েছেন তারা আমাকে কতটা ভালোবাসে।
শনিবার সকাল থেকেই বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের শান্তিপূর্ন ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহন চলাকালীন সময়ে কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।
প্রতিক্রিয়ায় সেলিম ওসমান বলেন, প্রথমেই আমি আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ষষ্ঠ ধাপে আমার নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বন্দর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন এবং ৪র্থ দফায় সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়নে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোন প্রকার রক্তপাত ও সহিংসতা ছাড়াই আমার নির্বাচনী এলাকার ৭টি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বন্দরের মানুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্দরের মানুষ প্রমান করে দিয়েছেন তারা আমাকে কতটা ভালোবাসে। আমি বন্দরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি যেভাবে বন্দরের উন্নয়ন করে আসছিলাম ঠিক সেই ভাবেই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক সাথে নিয়েই উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখবো। যতক্ষন পর্যন্ত আমার জীবন চলবে ততক্ষন পর্যন্ত আমি বন্দরের উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাবো।
নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হওয়া প্রার্থীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় বড় ব্যাপার না। খেলায় যেমন জয় পরাজয় থাকে ঠিক তেমনি নির্বাচনেও জয় পরাজয় রয়েছে। যারা বিজয়ী হতে পারেন নাই তাদের কষ্ট পাওয়ার কোন কারন নেই। আপনারা এলাকার উন্নয়ন করার উদ্দেশ্য নিয়েই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। বিজয়ী হয়ে আপনারা যে কাজটি করতেন সেই কাজ এখনও আপনারা করতে পারবেন। আপনি আপনাদের প্রতি আহবান রাখছি আপনারা আমাকে সহযোগীতা করেন। আপনাদের সাথে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সাথে নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে বন্দরের উন্নয়ন করে যাবো। বন্দরকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনেক কঠিন কাজকে খুব সহজেই সুন্দর ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে আমি বিশ^াস করি। তাই সকলের প্রতি আমার আহবান, নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন বন্দরে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করেছে। নির্বাচনের রেশ টেনে যেন পরবর্তী সময়ে নিজেদের মাঝে কোন বিভাজনের সৃষ্টি না হয়। বন্দরের উন্নয়ন যেন কোন কারনে বাধাগ্রস্থ না হয় সকলের কাছে এ আহবান রেখে আবারো সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশপাশি বন্দরের উন্নয়নের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
এদিকে ধামগড় ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেনকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুম আহম্মেদ। বিজয়ীদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নে এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নে মাকসুদ হোসেন, ও নৌকা প্রতীকে মদনপুর ইউনিয়ন থেকে এম এ সালাম।