বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার রোস্তমপুর থেকে মিরকুন্ডী সড়কের বেহাল অবস্থা। নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সদস্যরা প্রার্থীরা রাস্তাটি মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর নির্বাচিতরা বেমালুম তাদের ওয়াদার কথা ভুলে গেছেন। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পাশাপাশি প্রতিদিনই রাস্তাটি কোন না কোন দূর্ঘটনা ঘটছে। নিজের সার্পোটাস ফোরামে নয়ন মিয়া নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ম্যাসেজ পেয়ে সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বুধবার ৯ নভেম্বর দুপুরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে রাস্তাটি পরির্দশন করেনে তিনি।
এ সময় তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাস্তাটি প্রশস্ত ও সংস্কারের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে একটি প্রস্তাবনা সংসদ সদস্যের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর মিস্টার নয়ন মিয়া নয় নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নিজস্ব ফান পেইজ সেলিম ওসমান সার্পোটাস ফোরামে একটি এসএমএস করেন। রাস্তার ছবিটি সহ এসএমএস এ মিস্টার নয়ন মিয়া লিখেছেন, এইটা আমাদের কলগাছিয়া উনিয়নের ৬নং ওয়াড এর রোস্তমপুর থেকে মিরকুন্ডী পযন্ত রাস্তা। এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল। কিন্তু এই রাস্তা টা কেউ মেরামত করে না। নিরবাচনে সব মেম্বার চেয়ারম্যান এসে কথা দিয়া যায় তারা নিরবাচিত হয়ে রাস্তা মেরামত করবে। কেউ কথা রাখেনা। এই রাস্তায় প্রতিদিন ১/২ র্দূঘটনা ঘটেই থাকে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী গুলো একটু বৃষ্টি আসলে আর স্কুলে জেতে পারে না। বিগত ১০ বছরেও এই রাস্তাটি কোন মেরামত হয় না। আমি এলাকাবাসির পক্ষ থেকে মাননিয় এম পি মহাদয় কে বিনিত ভাবে অনুরোধ করছি এই রাস্তায় এসে যেন একটু পরির্দশন করেন। আমাদের দুঃখের দিনে আপনে ছাড়া আর কেউ নাই। বিশেষ করে গর্ববতী মহিলা গুলোর দিকে একটু বিবেচনা করেন।
৬ নভেম্বর নয়ন মিয়ার ট্যাগটি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নজরে এলে বুধবার ৯ নভেম্বর সেলিম ওসমান সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে যান। দুপুরে রাস্তাটি পরিদর্শন শেষে সেলিম ওসমান নয়ন মিয়ার ওই ট্যাগে পাল্টা উত্তর প্রদান করেন। উত্তরে সেলিম ওসমান তার পোষ্টে লিখেছেন, নয়ন মিয়া, আপনার পোষ্টটি পড়ার পর আজ দুপুরে জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু জাহের, বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রশিদ, বন্দর ও কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সারেজমিন রোস্তমপুর থেকে মিরকুন্ডী পর্যন্ত রাস্তাটি পরিদর্শন করি। আজ থেকে ৬ বছর আগে এখানে রাস্তা হওয়ার মতো তেমন পরিবেশ না থাকলেও সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। সারেজমিন পরিদর্শন শেষে আমাদের অভিমত হলো, যেহেতু রাস্তাটি এখন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদিন অনেক যানবাহন চলাচল করে তাই এটাকে আরো প্রশস্ত করা প্রয়োজন। সমস্যা হলো রাস্তা ঘেষে অনেক নতুন বাড়িঘর গড়ে উঠেছে কিন্তু এসব বাড়ির মালিকেরা রাস্তার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা রাখেননি। ফলে পানি জমে রাস্তাটি নষ্ট হচ্ছে। আমরা প্রস্তাব করছি যদি আপনারা এলাকার লোকজন মিলে রাস্তাটির সাথে লাগোয়া বাড়িগুলোর মালিকদের উৎসাহিত করে কিছুটা করে জায়গা ছাড় করে দিতে পারেন, তাহলে অসংখ্য বাঁক থাকা এই রাস্তাটিকে আমরা আরো প্রশস্ত করে দিতে পারি যাতে পাশাপাশি দুটো গাড়ি সহজে চলাচল করতে পারে। এতে করে রাস্তার উন্মুক্ত অংশটিও আমরা প্রশস্ত করে দিতে পারবো। প্রিয় সর্বস্তরের বন্দরবাসী, দু:খের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি যখন বন্দর দিয়ে চলাচল করি, তখন অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য করি যে রাস্তার দ’ুপাশ ঘেঁষে বিস্তির্ণ এলাকার জমিগুলো অনাবাদী অবস্থায় পতিত রয়েছে। যেখানে বর্তমান সরকার এক টুকরা জমিও পতিত না রেখে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান করে যাচ্ছেন, সেখানে আমাদের সংসদীয় এলাকায় বিস্তির্ণ এই পতিত জমি সত্যিই আমাকে অনেক লজ্জা দেয়, ব্যথিত করে। তাই আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, নিজে পারেন অথবা স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের মাধ্যমেই হোক, জমিগুলোতে সল্প বিনিয়োগী মৌসুমি শাকসব্জি যেমন ধনিয়াপাতা, পুদিনাপাতা, কাচামরিচ, লালশাক, পালংশাক, মিষ্টি পাটশাক, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি চাষ করে নিজের আয় বৃদ্ধি করুন, এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে আসুন।