বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের স্বপ্নের শীতলক্ষ্যা সেতুর ব্যাপারে সুখবর পাওয়া যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এছাড়াও নীটপল্লী সহ বন্দরের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের খবর জানিয়েছেন তিনি।
রোববার ২৯ জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক মিলাদ, এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও স্মার্ট মাল্টিমিডিয়া বোর্ড রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ খবর জানান।
অনুষ্ঠানে তিনি বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নে সাড়ে ১২ লাখ টাকা চেক প্রদান করেন। সেই সাথে বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফলদ ও বৃক্ষ মেলা উপলক্ষ্যে বির্তক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানে বিজয়ী তিনজন শিক্ষার্থী মো: জিলানী হোসেন, ফুয়াদ আশরাফ মনন, ও এস এম মাহমুদুর রহমানকে ৩ নিজ অর্থায়নে তিনটি ল্যাপটপ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করেন।
সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে বলেন, আমি বন্দরে আসলে আমার বড় ভাই এবং আপনাদের প্রিয় নেতা নাসিম ওসমানের কথা ভুলে যাই। কারণ আমি আমার এক ভাই হারিয়ে বন্দরে লক্ষ ভাই পেয়েছি। বন্দরের মানুষের মন খুব নরম। বন্দরের মানুষ নেতৃত্ব মানে। যদি নতুন করে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় তাহলে হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হতে পারে সেটা ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে নাসিম ওসমানের স্বপ্নের শীতলক্ষ্যা সেতু নিয়ে ভাল কিছু পাবো। এছাড়াও মদনগঞ্জের শান্তিরচরে নীট পল্লীর অনুমোদন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিরচরে ব্যবসায়ীদের ৩ একর করে জমি লিজ দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা যত বছরের জন্য লীজ নিতে চায় ততো বছরের জন্যই লীজ প্রদান করা হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদেরকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে। কেন মানুষ স্বাধীনতা চায় সেটা উপলদ্ধি করতে হবে। আমি কোন স্কুলে যাওয়ার আগে শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির নেতারা তোমাদেরকে শিখিয়ে দেয় নতুন ভবন চাই, তোমরা এসে সেটাই বলো। কিন্তু তোমরা এটা বলো না আমরা শিক্ষা সফরে যেতে চাই। সাফারি পার্কে যেতে চাই, বঙ্গবন্ধুর মাজার দেখতে যেতে চাই। আজকে আমি এই অনুষ্ঠানে এসে কষ্ট পেয়েছি। এতো ছোট জায়গায় এত বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আগামীতে সমরক্ষেত্র মাঠে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের বাবা মায়েদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে। সেখানে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় বিজ্ঞান মেলা ও বই মেলার আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি তিন দিন ব্যাপী চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে ঢাকা থেকে বিভিন্ন শিল্পীরা এসে সঙ্গীত পরিবেশন করবে। বিজ্ঞান মেলায় যে সকল স্কুল অংশ নেবে তাদেরকে স্টল করে দেওয়া হবে। স্টল গুলোর মধ্য থেকে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করবে তাদের জন্য পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও আলাদাভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার পর দীর্ঘ একটা সময় ওই সকল শিক্ষার্থীরা অবসর সময় কাটাবে। ওই সময়টাতে বন্দরের সকল স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রিকেট, ফুটবল, কাবাডি সহ বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করার অনুরোধ করেন। প্রয়োজনে সকল ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এবং জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মৌসুমী হাবিব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম, কদম রসুল কলেজের অধ্যক্ষ মাহতাব হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল সাগর, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাত্তার মিয়া, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, যুবলীগ নেতা কাজী জহির সহ স্কুল পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বিএম স্কুলে অনুদান,স্বর্ণ পদক সহ ১৫ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা সেলিম ওসমানের
বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নের নিজ তহবিল থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছেন সেই সাথে সেখানে প্রতিষ্ঠান ও নিজ তহবিল থেকে কলেজ ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এছাড়াও চলতি বছরের মার্চ মাসে বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও বই মেলা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগীতার মাধ্যমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে। সেই মোতাবেক পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জের পদক প্রদান করা হবে। প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের পাশাপাশি যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সকল শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেন সেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেও যথাক্রমে ১০ লাখ, ৩লাখ ও ২ লাখ টাকা মোট ১৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
রোববার ২৯ জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক মিলাদ, এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও স্মার্ট মাল্টিমিডিয়া বোর্ড রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ খবর জানান।
উপরদিকে সম্প্রতি বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফলদ ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত মেলায় স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশী ফল বেশি খান, অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য পান শিরোনামে পক্ষে বিপক্ষে বির্তক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে বিজয়ী হয়েছিলে বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী তিন শিক্ষার্থী মো: জিলানী হোসেন, ফুয়াদ আশরাফ মনন, ও এস এম মাহমুদুর রহমানকে ৩ নিজ অর্থায়নে তিনটি ল্যাপটপ পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এবং জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মৌসুমী হাবিব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম, কদম রসুল কলেজের অধ্যক্ষ মাহতাব হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল সাগর, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাত্তার মিয়া, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, যুবলীগ নেতা কাজী জহির সহ স্কুল পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
গুরুর চোখে সেলিম ওসমান ছিলেন ডানপিট্টে সাড়া বাংলাদেশে একজন সফল ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। এছাড়াও নিজ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ জনগনের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার নেওয়া প্রতিটি কর্মকান্ড ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। সকলের কাছে তিনি সফল এবং জনপ্রিয় হলেও তার গুরুর দৃষ্টিতে তিনি একজন ডানপিট্টে ছেলে। সেই ডানপিট্টে ছেলেটির নাম এ.কে.এম সেলিম ওসমান। যিনি একই সাথে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য, নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর অন্যতম পরিচালক।
মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন যাকে সেলিম ওসমান তার রাজনৈতিক গুরু বলে প্রতিটি সভা সমাবেশে উপস্থাপন করেন। রোববার ২৯ জানুয়ারী বন্দরে বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক মিলাদ, এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও স্মার্ট মাল্টিমিডিয়া বোর্ড রুম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন সেলিম ওসমানকে ডানপিট্টে ছেলে বলে আখ্যায়িত করেন।
আনোয়ার হোসেনের বক্তব্যে পূর্বে সেলিম ওসমান তার বক্তব্যে আনোয়ার হোসেনকে গুরু বলে সম্বোধন করে বলেন, বন্দরের মানুষ অনেক নরম মনের। বন্দরের মানুষ নেতৃত্ব মানে। আমার দাদা বন্দরকে ভালবাসতেন, আমার বাবাও বন্দরের মানুষকে ভালবাসতেন। এরপর আমার বড় ভাইয়ের পর আমি বন্দরের মানুষের সাথে মিশেছি। তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। উন্নয়নের জন্য তারা সকলে মিলে সহযোগীতা করেন। আমার সময় প্রায় শেষ আর আপনার সময় মাত্র শুরু হয়েছে। আজ থেকে বন্দরের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি আপনার হাতে তুলে দিলাম। আমি সময় শেষ হয়ে গেলেও যাতে বন্দরের উন্নয়ন থেমে না যায়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আনোয়ার হোসেন বিশেষ কারনে উপস্থিত হতে বিলম্ব হয়। ততক্ষনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরু হয়ে যায়। প্রধান অতিথির বক্তব্য চলাকালে অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হোন তিনি । প্রধান অতিথি সেলিম ওসমান তার বক্তব্যের সমাপ্তি টেনে সরাসরি তার রাজনৈতিক গুরু আনোয়ার হোসনকে বক্তব্য দেওয়ার আহবান রাখেন।
আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, সেলিম ওসমান আমাকে তার গুরু বলে দাবী করেন। কিন্তু আমি তার গুরু হলেও রাজনীতিতে তাকে আমি আমার শিষ্য বানাতে পারিনি। কারণ সেলিম ওসমান খুব ডানপিট্টে ছেলে ছিল। রাজনীতিতে তার মন বসতো না। সে সব সময় ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ব্যবসায় বাণিজ্য করে সে এখন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ও সফল ব্যবসায়ী। সে ব্যবসা করে যে টাকা উপার্জন করে সেই টাকাই আপনাদের মাঝে উন্নয়নের জন্য দ্ইুহাত দিয়ে বিলিয়ে দেন। এমন একটি মানুষ আমার শিষ্য হওয়ায় আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। পাশাপাশি আমি কথা দিচ্ছি বন্দরের উন্নয়নে আমি আমার শিষ্যের মত সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো।