বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আগামীকাল ১২ই ফেব্রুয়ারী কিং ব্যাক মুনেম মুন্নার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। গত ২০০৫ইং সালে বাংলাদেশের ফুটবলকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। এ উপলক্ষ্যে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে দিনব্যাপী পবিত্র কোরআন খানি,বাদ জোহর কাঙ্গালীভোজ পরিশেষে মরহুমের বিদেহী রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল। এছাড়াও মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে সকাল ১০টায় শোকর্যালি,বাদ জোহর গরীবভোজ এবং বিশেষ দোয়ার মাহফিল।
বাংলাদেশের প্রয়াত ফুটবলার মোনেম মুন্না ৯১ সালে কলকাতায় ইস্টবেঙ্গলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করে দিয়ে এসেছিলেন। দ্বিতীয়বারও তিনি খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তৃতীয় বার যেতে পারেননি আবাহনীর সাথে তার সম্পর্কটা ভালো ছিল না বলে। চতুর্থবার আবার কলকাতা লিগে খেলে ইস্টবেঙ্গলকে চাম্পিয়ন করে এসেছিলেন। সেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কাল আইএফএ শিল্ডে জিতেছে বাংলাদেশের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এমন একটি ভালো দিনে মুন্নার কথাটা অনেক ফুটবল অনুরাগীর মনে পড়ে। আরো বেশি মনে পড়ে আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। নবম মৃত্যুবার্ষিকীর আগের দিন কলকাতায় শেখ জামালের ফুটবলাররা মোনেম মুন্নার কথা স্মরণ করেছেন। কলকাতার ফুটবলে মুন্না দারুণ জনপ্রিয়। এখনও তিনি সেখানকার ফুটবল দর্শকদের কাছে তারকা হয়ে আছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক প্রয়াত মোনেম মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরস্থ ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং দুপুরে এবং জিমখানার সোনালী অতীত ক্লাবে দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া প্রয়াত মোনেম মুন্নার বাসভবনেও মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৮১ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল দিয়ে আত্মপ্রকাশ করা মোনেম মুন্না ক্যারিয়ারের (১৯৮৭-৯৭) অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন আবাহনীতে। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত খেলেছেন জাতীয় দলে। ১৯৯৯ সালের রমজান মাসে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে চিকিত্সার্থে সিঙ্গাপুর যান। সেখানেই কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। ২০০০ সালের মার্চে ব্যাঙ্গালোরে বোন শামসুন নাহার আইভীর কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। ম্যানেজারের ভূমিকায় লড়াকু মুন্না আবারও মাঠে ফেরেন। ২০০৪ সালে দেহে ক্ষতিকারক ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। ২০০৫ সালের ২৬ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ মুন্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় না ফেরার দেশে চলে যান এক মৌসুমে (১৯৯১ সালে ২০ লাখ টাকা) পারিশ্রামিকের রেকর্ড গড়া এ ফুটবলার। ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ মোনেম মুন্নার নামে একটি সেতুর নামকরণ করেন। যদিও নারায়ণগঞ্জে নেই তার নামে কোন স্থাপনা কিংবা সড়ক।