নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ফরাজিকান্দায় সহজ সরল মহিলাদের ঠকিয়ে সমিতির টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক মাদসুদা ও তার পরিবারনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন ফরাজিকান্দায় সহজ সরল মহিলাদের ঠকিয়ে সমিতির প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতারক মাদসুদা (৪৫) ও তার পরিবার। মাকসুদা (৪৫) সহ তার স্বামী জামাল হোসেন মোল্লা ও তার মা হাসনা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ সহজ সরল ১৫/২০ জনের নাম দিয়ে আশা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, মানবিক সংস্থা, ডিএসকে, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিএস, এ্যাডভান্টেজড উইমেন সহ কয়েকটি বিভিন্ন সমিতির থেকে টাকা উত্তোলন করে নেয়। এভাবে প্রতারক মাকসুদা ও তার পরিবার ১৫/২০ জনের নাম দিয়ে প্রায় ১২,৮০,০০০ টাকা নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ কাজে ফরাজীকান্দা এলাকার বাসীন্দা প্রতারক মাকসুদাকে তার স্বামী জামাল ও তার মা হাসনা বেগম সাহায্য করে। এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার হওয়া ফতুল্লা থানাধীন ফরাজিকান্দা এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ভোক্তভোগীরা জানান, প্রতারক মাকসুদা ও তার স্বামী জামাল ও তার মা হাসনা কান্না কাটি করে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে আমাদের নাম দিয়ে বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকা সময় মত সমিটিকে পরিশোধ করবে বলেছে। তারা সমিতির কিছু কিস্তিও পরিশোধ করে। অতিচালক প্রতারক মাকসুদা তার চালাকি দিয়ে কারো কথা কাউকে জানতে দেয়নি। কিন্তু আমরা যখন এক সপ্তাহ আগে তার বাসায় একজন করে গিয়ে তাদের খোজ করি। তাদের বাসা তালাবদ্ধ দেখি। একজন একজন করে যখন আমরা সবাই তাকে খোঁজতে থাকি তখন তাকে না পেয়ে আমরা সবাই দিশেহারা। এদিকে আবার সমিতির প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পাওনা টাকার জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছে। সমিতি গুলো মাকসুদার বদলে আমাদের টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু আমাদের অনেকের কাছ থেকে স্বাক্ষর না নিয়েও সমিতিগুলো অনেক টাকা প্রতারক মাকসুদাকে দিয়েছে। এমতাব্যবস্থায় আমরা যখন একজন আরেকজনের প্রতারণা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। প্রতারক মাকসুদাকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানাধীন ফরাজীকান্দা মোল্লা বাড়ি তার নিজ বাসায় খোজে না পেয়ে তার মা হাসনার আলীরটেকের সাহেবউদ্দিন বাড়িতে আামরা খোজতে যাই। তারা মা হাসনার কাছে প্রতারক মাকসুদা ও তার স্বামী জামালের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা কোথায় আছে আমি জানি না? আমি ওদের চিনি না?। মাকসুদার বাড়ির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বাড়ি ওরা আমার কাছে বিক্রি করে দিয়ে গেছে। হাসনা বেগমকে তার মেয়ে ও মেয়ের স্বামী কে এনে দিতে বললে তিনি কিছু করতে পারবে না বলে জানায়। গত দুইদিন আগে যখন আমরা তার বাসায় আবার যাই তখন মাকসুদা মার বাড়ি তালাবদ্ধ পাই। আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে গত দুইদিন ধরে তার বাড়ি তালা মারা। বর্তমানে তিনিও পলাতক রয়েছেন। তাদের কোথাও খোজে না পেয়ে আমরা এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। প্রতারক মাকসুদা ও তার পরিবার থেকে বাঁচাতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।