বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হাল চিত্রে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩০দিনে বিভিন্ন অপরাধে থানায় মোট মামলা রুজু হয়েছে ৬৪টি।যা গত আগস্ট মাসের চেয়ে ৪৩টি মামলা কম রুজু হয়েছে ।ফতুল্লা থানার আইন শৃঙ্খলা আগের মতো ভালই রয়েছে এমনটাই বলছেন পুলিশ ও সচেতন মহল। তবে মাদক উদ্ধার গত আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বরে কমছিল। গত আগস্ট মাসে মোট ২৯ লক্ষ ৯১হাজার ৪০টাকার মূল্যের মাদকদ্রব্যাদি উদ্ধার করেছে। আর এই সেপ্টেম্বর মাসে ১৯ লক্ষ ৭১ হাজার ৬শ’ টাকার মাদকদ্রব্যাদি উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ।এই মাসে ইয়াবা ট্যাবলেট ৪হাজার ৯২পিস, হেরোইন ৬০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৫০ বোতল,বিয়ার ১২ক্যান, চোলাইমদ ৪ লিটার, গাঁজা ২ কেজি ৫শ’ গ্রাম উদ্ধার করেছেন পুলিশ।এর মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশ ও র্যাব-১১ এর মামলা রয়েছে।এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন জনান, এমাসে আমাদের মাদক উদ্ধার ওয়ারেন্ট তামিলের স্পেশাল দুটি টীম বেশ কয়েক দিন বন্ধ ছিল ফলে মাদক উদ্ধারে গত মাসের চেয়ে একটু কম হয়েছিল। তবে আগামী মাসে আপনাদের এখন কারের চেয়ে বেশি ভালো রেজাল্ট দিব। এই মাসের মধ্যে গরুর হাট কোরবানীর ঈদ হয়েছে , ফলে পুলিশ জানযট নিরাশন জনগনের চলার পথ চুরি ছিনতাই মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি। পশুর হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে সুন্দর ভাবে আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পেরেছি।ফলে থানা অফিসারেরা বাহিরে ডিউটি বেশি করায় মাদক উদ্ধার কম হয়েছে।তিনি আরো বলেন,আপনারা চোখ খুলে দেখুন আমার থানা ধীন এলাকায় ক্রাইম আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আশারাখি জিরো টলারেন্স নিয়ে যাবো আমাকে আরেকটু সময় দিতে হবে। ফতুল্লা মডেল থানাটি মডেল নামে নয় কাজে পরিনত করে যাবো( ইনশাল্লাহ) এজন্যে এলাকার জনপ্রতিনিধি,পঞ্চায়েত সাংবাদিক ভাইরা এবং গন্যমান্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে ।তাহলেই মডেল থানার ্ক্রাইম জিরো টলারেন্স করতে পারবো।অমাদের এমপি মহোদয়,জেলার এসপি স্যার সহ যারা আছেন তারা অমাকে সহযোগিতা করায় জুয়া,মাদক সহ নানা অপরাধ হ্রাস করতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছি।সাংবাদিক ও সম্পাদক ভাইরা আমার ভালো কাজগুলোকে সাপোর্ট ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেয়ায় আমি ফতুল্লা এত বড় জনবহুল বিশাল এলাকাটির আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পেরেছি।গত সেপ্টেম্বর মাসে একটিও হত্যা, ছিনতাই মামলা নেই।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহর ,মনে করেন ফতুল্লা থানায় বেশ কয়েকজন কনষ্টেবল,এএসআই এসআই আছে যারা এই থানায় এবং এই জেলায় দীর্ঘদিন কর্মরত রয়েছে ।ফলে তাদের জন্যে মাদক উদ্ধারসহ নানা অপরাধ দমনেএকটু সমস্যা আছে।এদের সাথে অপরাধীদের পরিচিতি থাকায় অপরাধীরা চাঙ্গা আছে। আবার যারা নতুন পোটিং নিয়ে ফতুল্লা আসে এরা পুরানো অফিসারদের দাপটে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।ফতুল্লা মডেল তানায় মাঝে মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিষয় আদালত বসায়। অফিসার খাজনা দেখে বাজনা বাজিয়ে গনেষ উল্টিয়ে দেয়ার মতো অনেক অভিযোগ রয়েছে। যা করছেন থানার অফিসার ইনচার্জের চোখ ফাঁকি দিয়ে। অনেক সময় চেক পোষ্ট ডিউটিরত অফিসার ও কনষ্টেবল মানুষকে তল্লাশীর নামে হয়রানি করেন এমন অভিযোগ জনসাধারনের।হাজতে আসামীর সাথে তা পরিবার দেখা করতে এলে ২শ থেকে ৫শ টাকা গুনতে হয় ঐ পরিবারের।যারা টাকা দিতে পারবে শুধু তারাই আসামীদের সাথে দেখা করতে পারেণ । থানায় তিন দফা সেন্ট্রিকে টাকা দিতে হয় ।তবে পুরুষের চেয়ে মহিলা কনষ্টেবল টাকার জন্যে সোর গোল করে বেশি।এর মধ্যে পুরানো কনষ্টেবল নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশি রয়েছে।সে প্রায় ৩ বৎসর যাবৎ ফতুল্লা মডেল থানায় কর্মরত আছেন। এ যাবৎ সে তিনটি ওসি পার করেছেন। সুতরাং পুরানো হিসেবে তার দাপট একটু বেশী ।সু চতুর কনষ্টেবলরা দেখে অফিসার ইনচার্জ কখন বাহিরে বের হবে। তিনি যতক্ষন অফিসে থাকেন ততক্ষন সবাই ভদ্র। তিনি বাহিরের ডিউটিতে গেলেই এই কান্ড ঘটে। অথচ ইনস্পেক্টর তদন্তের কক্ষের সাথেই চলে এমন আচার আচারন।সি সি ক্যামেরা ওপেন করলেই সেন্ট্যিদের কর্মকান্ড দেখা যাবে এমন মনে করেন থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।এব্যাপারে থানার সিনিয়র এএপি মো. শরফুদ্দীন ও সফল সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ মো.কামাল উদ্দিনের হস্থক্ষেপ কামনা দাবী সাধারন জনগনের। ফতুল্লা মডেল থানায় গত সেপ্টেম্বরের ৩০ দিনে মোট বিভিন্ন অপরাধে মোট মামলা রুজু হয়েছে ৬৪টি।মামলাগুলো হলো, নারীনির্যাতন ২টি,পুলিশ সংক্রান্ত ২টি,অস্ত্র মামলা১টি, চুরি২টি, মাদক মামলা ৪০টি, আদার সেকশনেরর মামলা১৯টি। অপমৃত্য মামলা মোট ৩টি।ফ তুল্লার আইন শৃঙ্খলা জেলার ৭টি থানার মধ্যে ফতুল্লাই সব চেয়ে আইন শৃঙ্খলা উন্নতি রাখতে সক্ষম হয়েছে পুলিশের।এ মাসে অপহরণ ধর্ষন নাই।