বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে জুলাই মাসের ৩১ দিনে বিভিন্ন অপরাধে মোট ১শ’১৬টি মামলা রুজু হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে মোট ৬টি মামলা। তবে পূর্বের চেয়ে মাদক উদ্ধার জুলাই মাসে কম হয়েছে। গত জুলাই মাসে ১৭ লক্ষ২৮ হাজার ৮শ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তবে আইন শৃঙ্খলা জেলার সকল থানার চেয়ে যথেষ্ট উন্নতি আছে বলে বাদী পুলিশ ও ফতুল্লাবাসীর।
সূত্রে জানাযায়,ফতুল্লা মডেল থানার মাদক উদ্ধার পেছনের মাসগুলির তুলনায় জুলাই মাসে অনেক কম হয়েছে । এর কারন হিসেবে দেখছেন ফতুল্লা মডেল থানার দারোগাদের কাজের গতি আগের চেয়ে কম হচ্ছে। তারা তাদের নিজের আখের গুছাতে ব্যস্ত ঈদুল আযহার পর কার কোথায় পোষ্টিং হয় এ নিয়ে তারা আতংকে কাটাচ্ছেন, বলে পুলিশের একটি সূত্রে জানাযায়। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিনও দক্ষ এবং পরিপক্ষ অফিসার তিনিও বিকল্প হিসেবে বেশ কয়েক জনকে মাঠে পরীক্ষার জন্যে ছেড়ে দিয়েছেন। তারা অবশ্যই আগের সিভিল টীমের মতো কাজের তৎপরতা দেখাতে পারবেন। বর্তমানে এস.আই নাহিদ আহম্মেদ ,এএসআই কামরুল হাসানের কাজের তৎপরতা গতি আগের মতো নেই। তাছাড়া জেলায়ও কয়েক বছর যাবৎ আছেন । এদের মনে বদলী আতংক বিরাজ করছে । ফলে তারা কাজে মনোনিবেশ করছেননা সেই মার্চ,এপ্রিল ,মে,জুন মাসের মতো কাজের যে বাহবা তারা জেলা পুলিশ সুপার থেকে পেয়েছেন তা এখন আগের তুলনায় অনেক পিছিয়ে গেছেন। তাদের কাজে গতি উৎসাহ উদ্ধিপনা অনেক ঝিমিয়ে পড়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার প্রাণ এস. আই মিজানুর রহমান-২ নাহিদ আহম্মেদ এএস আই কামরুল হামান । কিন্তু এরা কেমন জানি আগের মতো নেই। ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক উদ্ধারে কামরুল হাসান ও মিজানের বিকল্প অফিসার ফতুল্লা থানায় নেই। ফতুল্লার যে পাড়া মহল্লায় যাবে তারা মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধী আতংকে থাকে কিন্তু লড়াকু অফিসারেরা কেমন জানি ঝিমিয়ে পড়েছে। বদলী ঠেকানোর পর তারা আগের মতো কাজের তৎপরতা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে ফতুল্লা বাসীর মন্তব্য। তাদের সু চতুর অফিসার ইনচার্জও বুঝতে পারছেন লড়াকু সৈনিকরা আগের মতো নেই। তাই সে ও বিকল্প হিসেবে থানার বেশ কয়েক জন অফিসারদের কাজের গতি দেখছেন। তবে মহিলা হিসেবে এসআই নাজনীন আক্তার শীর্ষে আছে। এছাড়া এসআই মো. দিদারুল আলম ,মাহবুবুল আলম,নাহিদ সুমন, সাইফুল ইসলাম ,অটলদাস, রাজু মন্ডল, মোজাহারুল ইসলাম ,মো. সবুর খান, এএস আই রোমান সাখীসহ বেশ কয়েক জনের কাজের গতি উদ্ধিপনা দেখেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ এবং এএসআই আবুল কালাম আজাদতো আছেই।
ফতুল্লা মডেল থানায় গত জুলাই মাসে মোট মামলা রুজু হয়েছে ১শ’১৬টি। মামলাগুলো হলো, ধর্ষন মামলা ২টি,নারী নির্যাতন মামলা ২টি, শিশু নির্যাতন মামলা ২টি, অস্ত্র মামলা ৩টি,চুরি মামলা ৩টি,মারামারি (আদার সেকশন ) মামলা ১৪ টি, এবং মাদক মামলা ৮৪টি, এর মধ্যে মাদক মামলার জেলা ডিবি’র ১২টি,এবং মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের ৫টি। এই মাসে গলায় ফাঁসসহ নিজ(ভিকটিম) কর্র্তৃক মৃত্যুর অর্থাৎ অপমৃত্যুর মোট ৬টি মামলা রুজু হেেয়ছে।
গত জুলাই মাসে ফতুল্লা থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য হলো : ইয়াবা ট্যাবলেট ৪৫শ৮৪ পিস,হেরোইন ২৮ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৬৭টি বোতল, গাঁজা কেজি। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিলেন ৫৩ জনকে ।