বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
পবিত্র মাহে রমজান আসতে না আসতেই ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যে ঊর্ধ্বগতিতে ধাওয়া করছে। বাজারে জিনিস পত্রের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি । ফতুল্লা বাজারের দোকানদারেরা তাদের কখনই দ্রব্য মূল্যের চার্ট টানায় না। যদিও মাঝে মাঝে টানায় তাও আবার চার্ট থাকা সত্ত্বেও এক জিনিসের মূল্য এক দোকানের সাথে আরেক দোকানের জিনিসের মূল্য ভিন্ন বলে ক্রেতাসাধারন জানায়।এই বাজারের মনিটরিংয়ে গাফেলাতি হচ্ছে । বাজার পরিচালনা কমিটি যেমন অর্থব তেমনি পাশের থানা পুলিশেরও নজরদারী নেই বলেই চলে এমনটাই বলছেন সাধারন জনগন।এই বাজারের ব্যবসায়ীরা এতই ক্ষমতাধর তাদের বিরুদ্ধে কেহ প্রতিবাদ করলে সব দোকানদার ঐক্য হয়ে প্রতিবাদীকে নাজেহাল করে অনেক অভিযোগ রয়েছে।ফতুল্লা থানাধীন ্্এলাকায় যতগুলো বাজার রয়েছে তার মধ্যে ফতুল্লা বাজারের দ্রব্যমূল্য মহল্লার টংপাতা দোকানের চেয়েও বেশি। ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রতি বছরই তারা রমজানের আগে সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া থাকে। তাদের সিন্ডিকেট অতি মজবুত এবং চৌকশ বলে একটি সূত্রে জানাযায়।ফতুল্লা বাজারের কাঁচা তরকারী হতে মুরগী গরুর গোশত পর্যন্ত তারা ফতুল্লার অন্য সব বাজারের চেয়ে বরাবরই বেশি দাম নিচ্ছে ক্রেতা সাধারনের কাছ থেকে।তাদের বিরুদ্ধে জিনিস পত্রে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ফতুল্লা বাজার ঘুরে ক্রেতা সাধারনের কাছ থেকে জানাযায়, গত ১সপ্তাহ আগে মোটা চাউল কেজি প্রতি ছিল ৩৮ থেকে ৪০টাকা।এখন ৪২ থেকে ৪৮টাকা।মিনিকেট ছিল ৫০ থেকে ৫৫টাকা। এখন ৫ থেকে ৫৮টাকা,নাজিশাইল কেজি প্রতিছিল ৫২ থেকে৫৪টাকা এখন ৫ থেকে ৫৮টাকা।লতা ছিলো ৪২ থেকে ৪৫টাকা,এখন ৪৫ থেকে ৪৮টাকা।পোলার চাউল ৭০থেকে ৮০ টাকা ,এখন ৮০ থেকে১১০টাকা।ভেসন প্রতি কেজি ৪৫টাকা হতে ৫৫টাকা,এখন হলুদ প্রতি কেজি ছিলো ১০০টাকা থেকে ১১০টাকা। এখন ১১০টাকা হতে ১২০টাকা।শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ছিলো ১২০টাকা হতে ১৪০টাকা এখন ১৫০ টাকা হতে ১৮০টাকা।পিঁয়াজ দেশিটা প্রতিকেজি ১১০টাকা হতে ১১৫টাকা এখন ১১৫টাকা হতে ১২২টাকা।আধা প্রতিকেজি ৭০টাকা হতে ৮০টাকা বর্তমানে৭৫ হতে ৯০টাকা।ডাল প্রতি কেজি ছিলো ১০০টাকা এখন ১২০টাকা। ছোলা প্রতিকেজি ছিল ৫৮ থেকে ৬৫টাকা ,বর্তমানে ৬৫ থেকে ৭৮টাকা। ডাবলী ছিলো ৩০টাকা এখন ৩৫টাকা।রসুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা হতে ৮৫ টাকা এখন ৮৫ থেকে ৯৫টাকা।চিনি প্রতি কেজি ৫৬ থেকে ৬০টাকা এখন ৬ থেকে ৬৬টাকা।ডিম প্রতি হালি ২৬টাকা হতে ২৮টাকা। বর্তমানে ২৬ থেকে ২৮ টাকা।গরুর গোশতের দাম ছিল ৫০০টাকা, এখন ৫০ তেকে ৫২০টাকা, খাসির গোশত ৭৫০টাকা ছিলো বর্তমানে ৭৫০টাকা হতে ৮০০টাকা।মহিষের ৪২০টাকা গোশত টাকা হতে ৪৫০টাকা, এখন ৪৭০থেকে ৪৮০টাকা।মুরগী (বয়লার)কেজি প্রতি ১৩০টাকা ১৪০টাকা বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০টাকা।কক লাল মুরগী কেজি প্রতি ১৮০টাকা এখন ১৮০ হতে ১৮৫টাকা। দেশী মুরগী মজিবরের দোকানে ৫০০টাকা কেজি এখনও ৫০০টাকা।অন্যদোকানে কেজি প্রতি ৩৭০থেকে ৪২০টাকা। পাঙ্গাসমাছ ১১০টাকা হতে ১২০টাকা, এখন ১২০টাকা হতে ১২৫টাকা।রুইমাছ ২২০টাকা হতে ২৫০টাকা,বর্তমানে ২৫০টাকা হতে ২৫৫টাকা ।কাতলমাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা।এখনও ৩০০হতে ৩৫০টাকা।।তেলাপিয়া ১২০টাকা হতে ১৩০টাকা,এখন ১২০টাকা হতে ১৩৫টাকা।ইলিশ মাছ ৬০০ থেকে৭০০টাকা ,এখনও ৬০০ থেকে ৭০০টাকা।
কাঁচা বাজারের ঘুরে জানাযায়, আলু প্রতি পাল্লা(৫কেজি)৬০ থেকে ৭০টাকা এখন ৭০থেকে ৭৫টাকা।পটল, লালশাক,পুইশাক, পেঁপে, জিঙ্গা,টমেটো,মূলাশাক ৩০থেকে ৪০টাকা, বর্তমানে ৪০ থেকে ৪৫টাকা।
ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে ফতুল্লার ক্রেতা সাধারন জিম্মি হয়ে পরেছে। কোন দোকানে সরকারের নিধারিত মূল্যের চার্ট নেই। এমনকি অনেক দোকানে শিশু খাদ্য বিক্রি করছেন । তাদের মধ্যে অনেকের অনুমোদন নেই বলে বিশেষ সূত্রে জানাযায় ।
ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজার, ইসদাইর বাজার, মাসদাইর বাজার, গাবতলী নতুন বাজার ,রেলষ্টেশন বাজার, বিসিক শাসনগাঁও বাজার, ভোলাইল গেদ্দার বাজার, শিবু মার্কেট ,কুতুবপুর শাহী মহল্লা বাজার,ইসলামিয়া বাজার,বক্তাবলী বাজার এবং ধর্মগঞ্জ মাওলাবাজারের চেয়ে ফতুল্লা বাজারে নিয়ম নীতি এবং দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে বলে এলাকা সুত্রে জানা যায় ।ফতুল্লাবাসীর দাবী পবিত্র মাহে রমজানের আগে ফতুল্লা বাজারে প্রত্যেক দোকানে মনিটরিং করা হোক ঢাকার মতো ফতুল্লাও ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চক্রদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক ।