বিজয় বার্ত ২৪ ডট কম
মরেও শান্তি নেই । পরিবারের ভাষ্যমতে হার্ট এ্যটাকে মারা গেছে আর ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সুমন আইচের মতে রহস্যরজনক মৃত্যু। আকলিমার পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনেরা এ ঘটনায় কোন মামলা করতে রাজী না হলেও এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে সুমন আইচ এ্যাম্বুলেন্স (চট্ট-মেট্টো-ছ-৭১-০১৪৯) সহ নিহত আকলিমা বেগমের লাশ আটকে দেয়। আর স্বামী মোঃ আলীকে আটক করা হয়েছে।
তবে মৃত আকলিমার ভাই হাসান ও স্বামী আলী জানান,তার বোন আকলিমা শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইলে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মত গত শনিবার রাতে কাজ শেষে মিল থেকে ফিরে এসে পাইলট স্কুল সংলগ্ন জোহরা বেগমের ভাড়া বাসায় রান্নাবান্না শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের ঘরে সে হার্ট এট্যাকে মারা যায় । মৃতের লাশ নিয়ে কুড়িগ্রামের গ্রামের বাড়েিত যাওয়ার পথে এলাকার কতিপয় ব্যাক্তির সংবাদের ভিত্তিতে এ্যম্বুলেন্সসহ লাশ আটকে দিয়েছে পুলিশ।
মৃত আকলিমা সে কুড়িগ্রাম জেলা ও থানার কাশীর চর গ্রামের আনিসুল হকের মেয়ে। গত ৫ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক একই থানার আনসার আলীর ছেলে মোঃ আলীর সাথে বিবাহ সম্পন্ন্ হয়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৪ বৎসরের একটি সন্তান রয়েছে। আকলিমা বেগম শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলসে চাকুরী করা অবস্থায় পাইলট স্কুল সংলগ্ন জোহরার বাড়ীতে ৩মাস যাবত ভাড়া থাকলেও তার স্বামী মোঃ আলী গ্রামের বাড়ি থাকতো ।
গত ৭দিন আগে মোঃ আলী তার স্ত্রী আকলিমার কাছে এসে সেও কাজে যোগ দেয়। এসআই সুমন আইচ তাৎক্ষনিকভাবে সাংবাদিকদের জানায়,মেয়েটি স্ট্রক করেছে নাকি তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে, তা ময়না তদন্তের পর বুঝা যাবে। তবে লাশের ছবি ধারন করতে সাংবাদিকদের বাধা দেয় এবং পরবর্তীতে আর কোন তথ্য প্রদানেও অনীহা প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে এসআই সুমন আইচকে কয়েক দফা মোবাইলে ০১৭২১৯২০৫৩২ নম্বরে ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। প্রায় সময়ই উনি সেবা গ্রহীতাদের ফোন রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।