নারায়ণগঞ্জ,ফতুল্লা,বিজয় বার্তা ২৪
ফতুল্লায় কোন নিয়ম নীতি মানছেনা ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালকরা। দ্রুত গতিতে চলা, পেছনে চারজনের আসনে ছয়জন বসানো, ধুমপান, গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইলে কথা বলা,জোরে গান বাজানো ও বেশী ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এসবের প্রতিবাদ করলে চালকদের হাতে লাঞ্চিত হয় যাত্রিরা। অনেক চালকের বয়স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। সচেতন মহলের মতে, সমিতি গঠন করে এখন যেমন খুশী তেমন চলছে অটো রিকশা চালকরা।
ফতুল্লা দাপা এলাকার গার্মেন্টকর্মী শাহজাহান জানান, বিসিক শিল্পনগরীর একটি কারখানায় কাজ করার সুবাদে প্রতিদিন অটো রিকশায় চড়ে যেতে হয়। পেছনের সিটে ৩ জন করে ৬ জন বসানোর কারনে আমি চালকের পাশে বসি। লালপুরের আরেক গার্মেন্টকর্মী জানান, চালকের পাশে এক হাত দিয়ে হ্যান্ডেল ধরে আরেক হাতে টিফিন ক্যারিয়ার ধরে রেখে ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যাই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গার্মেন্ট ছুটির সময় কিছু অটো রিকশা বিসিক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। ওখান থেকে তারা পেছনে ৬ জন শ্রমিক নিয়ে ফতুল্লা, আলীগঞ্জ ও কাশিপুর পর্যন্ত যাতায়াত করে। যদিও প্রশাসনের সাথে সমঝোতার সময়ে পেছনে ৪ জন করে যাত্রি নেয়ার কথা ছিল। সম্প্রতি অনেক ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় সাউন্ড বক্স লাগিয়ে ইচ্ছেমত জোরে গান বাজায় চালকরা। মোবাইলের মেমোরী কার্ডে লোড করে হিন্দিসহ নানা গানের চড়া সুর শোনা যায় অটো রিকশায়। বাড়ৈভোগ এলাকার কামরুল জানান, মহল্লায় এখন অটো রিকশার গ্যারেজ বাড়ছে। রাতের বেলায় গ্যারেজ ফেরার সময়ে অনেক অটো চালক মাইকের মত সাউন্ড দিয়ে গান বাজায়। গভীর রাতের এই শব্দ দূষনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে অনেকের। বিশেষ করে যারা ফজরের নামাজের জন্য উঠেন তাদের মধ্য রাতেই ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় অটো রিকশা চালকরা। অনেকের মতে, অধিকাংশ রিকশা চালক ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালক হওয়ায় তাদের আইন কানুন সম্বন্ধে জ্ঞান কম। এর মধ্যে অনেক অটো রিকশা চালকের বয়স খুবই কম হওয়ায় সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে। ভোলাইল এলাকার এক মুদি দোকানদার জানান, পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত চলাচল করা কিছু অটো রিকশা চালকের বয়স আঠার’র কম। এ ছাড়াও কিছু চ্যাংড়া বয়সের বখাটেরা নেশার টাকার যোগাড় করতে অটো রিকশা চালায় বলে অভিযোগ অনেকের। তারা সমিতি, প্রশাসন কিংবা যাত্রিদের কোন রকম তোয়াক্কা করে না। এদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে ব্যাটারি রিকশা চালকদের সংগঠনের দোহাই দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কোন কোন অটো রিকশা চালক গাড়ি চালানোর সময়ে ধুমপান করেন। আবার মোবাইলে কথা বলতে বলতেই গাড়ি চালান। এতে একদিকে যেমন আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে তেমনি যে কোন সময়ে দুর্ঘটনার আশংকাও থেকে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের মতে, এ গাড়িটি পরিবেশ বান্ধব তবে তা ঠিক রাখতে অন্য বিষয়গুলির দিকে নজর দিতে হবে। নিয়ম কানুনের মধ্যে আনতে হবে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা।