বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা আমতালা এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মী রাখার প্রায় সাড়ে ১০ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিম্মীকারী সুরাইয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শিশুটির নাম বিপনতী(৯)। সে পাগলা শাহীবাজার আমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী ও একই এলাকার রিপনের মেয়ে। আটক নারী সুরাইয়া(২৮) শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া মূলফতগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং টাঙ্গাইল জেলার চরপৌলী গ্রামের জয়নাল আবেদীন রাজার স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা-২ জানান, সোমবার রাত ১২টায় পাগলা শাহীবাজার আমতলা এলাকায় টহল ডিউটি করার সময় নরুল হকের চায়ের দোকানের সামনে লোকজন দেখে দাড়াই। এসময় এক নারী নিজেকে সুরাইয়া নামে পরিচয় দিয়ে বলেন সে টাঙ্গাইল থেকে তার চাচা-চাচীর খোজে এখানে এসেছেন। এখন অনেক খোজাখুজি করে চাচার ঠিকানা পাইনি। আমাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখেন সকালে টাঙ্গাইল চলে যাবো। এতে তিনি রাতটা রাখার জন্য চা দোকানদার নরুল হক ও তার স্ত্রী নিলুফার কাছে সুরাইয়াকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর তারা সুরাইয়াকে তাদের ঘরে নিয়ে নিয়ে নাতিন বিপনতির সাথে থাকতে দেয়। এসময় সুরাইয়া তার ব্যাগ থেকে তালা বের করে ঘরের দরজায় লাগিয়ে দিয়ে বটি বের করে শিশুটির গলায় ধরে রাখেন এবং নুরুল হক ও তার স্ত্রী নিলুফাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এতে নুরুল হক ও তার স্ত্রীর ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। দীর্ঘ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়েও সুরাইয়ার জিম্মিদশা থেকে শিশুটিকে মুক্ত করতে পারেননি। পরে গ্যাস কাটার নিয়ে লোহার দরজা কেটে পুলিশ ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে সুরাইয়া শিশুটিকে ছেড়ে দিয়ে নিজের গলায় বটি ঠেকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ তার হাত থেকে বটি কেড়ে নিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ধারনা করা হচ্ছে আটক সুরাইয়া মানুষিক ভারসাম্যহীন। তার আত্মীয় স্বজনদের খোজ খবর নেয়ার চেষ্টা চলছে। আত্মীয় স্বজনদের পেলে সুরাইয়ার খোজনখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।