বিজয় বার্তা ২৪ ৩৫ কম
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর রাতে ফতুল্লার দেওভোগ নাগবাড়ী এলাকা থেকে হুশিয়ারী শ্রমিক হারুন অর রশীদ (৩২) এবং ভূইঘরস্থ রূপায়ন টাউন এলাকা থেকে ঝাড়–দার হালিম (৩৬) হত্যাকান্ডের স্বীকার হন। এদিকে পুলিশ উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় পোশাক শ্রমিকের লাঁশ উদ্ধার করতে পারলেও ঝাড়–দারের লাঁশ গুম করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের হারুন রশিদের পরিবার জানিয়েছে, নিহত হারুন অর রশিদ রাকিব গত মঙ্গলবার রাতে তার কর্মস্থল থেকে নাইট ডিউটি শেষে ভোরে শহরের দুই নং রেলগেইট এলাকা থেকে রিকশাযোগে দেওভোগ পানির ট্রাঙ্কি এলাকায় যাচ্ছিল। দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকায় অটোরিকশাযোগে আসা তিন যুবক তার রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে করে পালিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তা প্রহরীরা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খাণঁপুরস্থ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শরীফ উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত তিনজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে ফতুল্লার ভূইগর আবাসিক এলাকা রূপায়ন টাউনে হালিম (৪৫) নামের এক ঝাড়ুদারকে হত্যার পর লাঁশ গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উক্ত এলাকার নৈশ্য প্রহরী শহীদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মাজেদ বলেন, খবর পেয়ে এলেও হালিমের লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৈশপ্রহরী শহীদুলকে আটক করা হয়েছে। উক্ত ঘটনাটি গভীর ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধারসহ ঘটনার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার পোষাক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর ভূইঘর রূপায়ন টাউন আবাসিক এলাকায় ঝাড়–দার হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু লাঁশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।