বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ পিলকুনি এলাকার আন্তঃজেলার ডাকাত সদস্য শাহিন ওরফে ডাকাত শাহীন কে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার মো. শামসুল হকের ছেলে শাহিন ওরফে ডাকাত শাহিন(৩৮)। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ,মাদক, মারামারি ,চাঁদাবাজীসহ ফতুল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এস আই নাহিদ আহম্মেদ ও এএস আই কামরুল হাসান গত ২ জুলাই রাতে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে তার বাসা হতে।
তার বিরুদ্ধে গতকাল দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় জৈনুদ্দিন জনু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। গত বৎসর ২০১৬ইং সালের ৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ৮টায় ডাকাত শাহিন আমজাদের ছেলে রাসেল (৩৪) ,শুক্কুর (৩৫),ডিশান (২৪) মিলে জৈনুদ্দিন কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছে। ঘটনার ৮ মাস পরে গতকাল মামলা নিলো বিজ্ঞ আদালতের পিটিশনের মাধ্যমে ফতুল্লা থানায় ।
এই মামলার রাসেল ও জেল হাজতে আছে। ফতুল্লা মডেল থানার তালিকা ভূক্ত ডাকাতের মধ্যে শাহিনকে হত্যা মামলায গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছে। শাহিন এর খুব পরিচিত মুখ ফতুল্লা মডেল থানার কনষ্টেবল সহযোগি মুন্সী মো. আনিসুর রহমান। তিনি ফতুল্লা থানায় দীর্ঘদিন চাকুরী করে আসছে। প্রায় তিন বছর এর আগেও এই থানায় দুইবার চাকুরী করে দীর্ঘদিন থেকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে পুটিং হয় আবার সেখান থেকে বিভিন্ন মহলে তদবীর করে মুন্সী ফরহাদের মাধ্যমে ফতুল্লায় যোগদান করে। তার সাথে ও সাবেক মুন্সী ফরহাদের সাথে ডাকাত শাহিনের পরিবারেরও সম্পর্ক অনেক গভীর। মুন্সী আনিসুর রহমান ফতুল্লা থেকে কোর্টে পোষ্টিং হওয়ার পরে তার সাথে কোর্টের অনেক এ্যাডভোকেটের সাথে সম্পর্ক হয় । এমনকি ফরহাদ মুন্সীর মেয়েও উকিল তাকেও সে মক্কেল ফিট করে দেয়। ফলে তিনি থানা থেকে বিভিন্ন মামলার আসামীদের পরিবারের সাথে চুক্তি করে কোর্টে পাঠিয়ে দেয় পছন্দের উকিলের কাছ্ ে,পরে তিনি পার্সেন্টিস কামায়। আগের মুন্সী ফরহাদ ও আনিসের এই বানিজ্য চলছিল ভালই। কিন্তু ফরহাদ এর পোটিংয়ের পরে আনিস তার বানিজ্য ধরে রাখেন। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তেক্ষেপ কামনা করে সাধারন জনতা। তিনি থানায় আসামীদের নাম লেখার নামে আসামীদের কাছ থেকে পরিবারের মোবাইল নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করে এই বানিজ্য করে আসছ্ েবলে আসামীর পরিবারবর্গ জানান। সাংবাদিকরা ডাকাত শাহীনের ছবি চাইলে থানার সেকেন্ড অফিসার ফয়েজুর রহমান কনস্টেবল সহকারী মুন্সী আনিস কে আসামী এনে ছবি দিতে বললেও সে তার কথায় পাত্তা না দিয়ে চলে যায়। পরে থানা সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন ডিউটি অফিসারকে বললে পরে সে সাংবাদিকদের ডাকাত শাহিনের ছবি দেয়।
ডাকাত শাহিন যুবলীগ নেতা মামুম হত্যার চার্জসীট ভুক্ত আসামী। সে গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকায় সস্তি ফিরে এসেছে।