বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমান এমপি’র অত্যান্ত স্নেহ্ভাজন ব্যক্তি ছিলেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ। খান মাসুদ নিজেও নাসিম ওসমানের এক অন্ধভক্ত ছিলেন। নাসিম ওসমান কিংবা তার ওসমান পরিবারের জন্য নিজের জীবন দিতেও সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন খান মাসুদ। তাই ওসমান পরিবারের যে কোন প্রয়োজনে যে কোন সময় খান মাসুদকে দেখা যেত রাজপথে।কিন্তু সেই নেতারই আজ এমন করুন অবস্থা দেখে যেন চোঁখে কিছুতেই জল ধরে রাখতে পারছেনা খান মাসুদের বন্ধু মহল এবং বন্দর থানা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৮ই জুলাই) খান মাসুদকে আদালতে হাজির করার শেষে অশ্রুসিক্ত মনে সাংবাদিকদের এমনটাই বললেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তারা আরো বলেন, নাসিম ওসমান খান মাসুদকে খুবই ভালোবাসতেন এবং খান মাসুদও নিজের পিতৃতুল্য তাকে শ্রদ্ধা করতেন। যেদিন নাসিম ওসমান আমাদের সকলকে ছেড়ে চিরদিনের মত চলে যান, তখন সবার মত আমরাও শোকাহত হয়েছিলাম। গোটা নারায়ণগঞ্জবাসী তখন কেঁদেছিল। আমরা কেঁদেছিলাম কিন্তু খান মাসুদ যেভাবে কেঁদেছিলেন, ওকে দেখে মনে হয়েছিলো যেন ওর নিজের পিতাই মারা গেছে। সত্যিই সেদিন ও বুক চাপরে কেঁদেছিলো। আমরা জানতাম খান মাসুদ নাসিম ওসমানকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু তার প্রতি খান মাসুদের এত গভীর ভালোবাসা ছিলো যা তিনি চলে যাওয়ায় বুঝতে পেরেছি।
তারা বলেন, নাসিম ওসমান বন্দরের যে কোন সফরে, যে কোন কাজে গেলে খান মাসুদকে সঙ্গে রাখতো। নাসিম ওসমানও খান মাসুদকে অত্যাধীক ভালোবাসতো। তাই নাসিম ওসমান বেঁচে থাকলে হয়তো আজ খান মাসুদের এই দূর অবন্থা হত না। তিনি অব্যশই এই ষরযন্ত্রের হাত থেকে খান মাসুদকে রক্ষা করতেন।
বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সর্বশেষ খান মাসুদের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী জানান।