বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রেমের ফাঁদে আটক করে ২যুবকের কাছ থেকে ৪লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অপহরনকারী দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব ১১’র একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপনের ৭৯ হাজার ৯শত ৫০টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকরা হলো- অপহরনকারী চক্রের মূল হোতা কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার খুুরশীদের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৫), ঢাকা জেলার কদমতলী থানার ধনিয়া এলাকার সোহাগের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৩৫), নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভুঁইঘর পূর্বপাড়া এলাকার মাজন বাশারের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪০), একই থানার ভুঁইঘর মাহমুদ ও ভুঁইঘর কড়ইতলা এলাকার আলমগীরের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০) এবং মৃত আনু মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া (৩৮)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় র্যাব ১১’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১১’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কামরুল হাসান সাংবাদিকেদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত র্যাব ১১’র এএসপি আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আটক এই চক্রটি বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এ চক্রের সদস্য নাছিমা আক্তার মোবাইল ফোনে কুমিল্লা জেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকার আইটি ব্যবসায়ী হুমায়ুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত ১৭ জুলাই নাছিমা হুমায়ুনকে ডেকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় হুমায়ুনের সাথে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার শাহজালাল ছিল। পরে নাসিমা তাদেরকে ফতুল্লা ভুইঘর এলাকায় এ চক্রের অপর সদস্য আটক মমতাজের বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসার দ্বিতলায় একটি রুমে তাদের আটকে রাখে। পরে অপরহরন চক্রের আরো সদস্যরা এসে জোর পূর্বক আটক হুমায়ুন ও শাহজালালকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অজ্ঞাত মেয়েদের সাথে তাদের অশ্লিল ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারন করে। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপন বাবদ ভিকটিম মোঃ হুমায়ন আহমেদ এর ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ভিকটিম মোঃ শাহ জালালের স্ত্রীর মোবাইলে কল করে ০১৬৭৪০৮৭১৬৬, ০১৬৮৯১৯২০১৬ এবং ০১৭৬২৬৮৭৫২৩ মোবাইল না¤¦ারে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আনায়। এরপরও তারা আরও ৩লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে তারা ভিকটিম শাহ জালালের কাছে থাকা সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও পিন ন¤¦র জোরপূর্বক নিয়ে তার এ্যাকাউন্ট হতে দুই দিনে ২ লাখ টাকা আদায় করে।
এ ঘটনায় তাদের ব্যবসায়িক আরেক অংশীদার মোঃ জসিম উদ্দিন গত ১৭ জুলাই ডিএমপি’র রমনা থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং-১০৬৮ । পরে তিনি ১৮ জুলাই র্যাব ১১’র দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সূত্র ধরে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল অপহরণকারীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় পূর্বপাড়া এলাকায় ভোর রাত ৪টা হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের মমতাজের বাসা থেকে মুক্তিপনের আংশিক টাকাসহ তাদেরকে আটক করেন। তবে এর আগেই অপহরনকারীরা এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এ চক্রের বাকি সদস্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক ৫জন সহ এ চক্রের আরো ৪ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।