বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছিল আগেই। নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে রাজপথে তাও ছিল প্রত্যাশিত। তবে ধারনার চেয়েও বর্ণাঢ্য আয়োজনে আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা রূপ নেয় উৎসবে।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দেশে ফেরার পর নজিরবিহীন সংবর্ধনায় বরণ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে বের হন সন্ধ্যা ৭টার দিকে। রাজপথে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।
প্রিয় নেত্রী আসবেন, তাই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে কি ছিল না! হাতি, ঘোড়া, বাদ্যযন্ত্র, ফুল সবকিছুর আয়োজন ছিল। বাদ্যযন্ত্রতো বেজেই চলেছে অবিরাম। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা, অবশেষে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে খুশি নেতা-কর্মীরা।
দুপুরের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিমানবন্দর এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় সম্বলিত নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও রং-বেরঙের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন তারা।
নেতা-কর্মীদের ভিড় ঠেলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর যখন থেকে এগিয়ে যাচ্ছিল রাস্তার দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসু বৈঠক, জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশনে ভাষণ প্রদান এবং দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনা ও বহুমাত্রিক অবদানস্বরূপ জাতিসংঘ পদক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত হওয়ায় তাকে গণঅভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগসহ ১৪দল, সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, হোটেল রেডিসন, কাকলি, বনানী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিজয় সরণি, সামরিক জাদুঘর, জাতীয় সংসদ ভবন মোড় ও গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়।