বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অর্থপাচার মামলায় নিম্ন আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহামানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নেপথ্যে ‘প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ’ আছে বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ করতেই’ মামলায় সাজার রায় হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমানকে সাজানো মিথ্যা মামলায় বেকসুর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে সাজা দেওয়ার’ প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, মুদ্রাপাচার মামলায় তারেক রহমানের কোনোদিক থেকে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় নিম্ন আদালত থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। সেই রায়ে তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ইচ্ছাপূরণ হয়নি। তাই উচ্চ আদালতে মামলা নিয়ে গিয়ে তাকে (তারেক রহমান) সাজার ব্যবস্থা করা হলো। বুঝতে হবে, এটাই শেখ হাসিনার আমল।
তিনি বলেন, এ দেশে যারা বিরোধী রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে; তারা জেলে থাকবে, গুম হবে। এই হচ্ছে হাসিনা সরকারের বাস্তবতা।
সরকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অভিযোগ দিয়ে শত শত মামলা দিচ্ছে, এ অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আর যাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতি ও কুপিয়ে হত্যা করার জন্য মামলা হচ্ছে তাদের বেকসুর খালাসের সার্টিফিকেট দিয়ে বের করে আনছেন। কারণ, এখন কাকে ফাঁসি দেওয়া হবে, কাকে যাবজ্জীবন দেওয়া হবে, সব বাস্তবায়ন হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।
জনসর্মথন ছাড়া গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকার চেষ্টা করছে, মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পার্শ্ববতী সরকারের সমর্থন ছাড়া এ দেশের জনগণ বা মিডিয়ার সমর্থন দরকার নেই। ওই দেশের (ভারত) নীতিনির্ধারকরা সমর্থন করলেই হবে।
ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে দলটির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বজ্রকঠিন আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের সিংহাসন কাঁপিয়ে দেওয়া হবে। তখন সরকারের র্যাব-পুলিশ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্দ করতে পারবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, ছাত্রনেতা আতাউর রহমান ঢালী, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক খান প্রমুখ।