বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শুধুমাত্র কাগুজে সার্টিফিকেটে শিক্ষিত না হয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। যিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। এরজন্য শিক্ষা বিস্তারে প্রয়োজনীয় ১০ তলা ভবন, ১০০টি কম্পিউটার দিয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সহ নানান উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ কলেজের সম্মেলন কক্ষে পরিচালনা পর্ষদের প্রথম মাসিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ২০১৬ সারে ৪ ফেব্রুয়ারী সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ কলেজের এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন। শনিবার আগামী ৪ বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রথম মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ কাজী চাঁদ সুলতানা, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও বিকেএমইএ এর সাবেক সহ সভাপতি মো: হাতেম, সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, দাতা সদস্য প্রবীর কুমার সাহা, হিতৈষ্যি সদস্য মোস্তফা কামাল, অভিভাবক সদস্য বিকেএমইএ পরিচালক আব্দুল হান্নান, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, কাজী সাইফুল উদ্দিন পলাশ, কলেজের উপাধক্ষ্য ফজলুল হক রোমন রেজা, শিক্ষক প্রতিনিধি আরিফ মিহির, রোকসানা করিম, মনিরুল ইসলাম।
পরিচালনা পর্ষদের গঠনের বিধি অনুযায়ী একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসক হিসেবে বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ডাক্তার শাহনেওয়াজ চৌধুরীকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম।
সভায় কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে ১০ তলা ভবনের নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবা ও মূল ক্যাম্পাসে সরকারী বরাদ্দের অর্থে পৃথক একটি বহুতল ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও ১০০টি কম্পিউটার দিয়ে কলেজে একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় কলেজের অধ্যক্ষ কাজী চাঁদ সুলতানা গত এক বছরে কলেজের আয় ব্যয়ের হিসেব তুলে ধরেন। সেই মোতাবেক ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার সময় কলেজের প্রারম্ভিক স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত এক বছরে এখন সমাপনী স্থিতি দাড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। শিক্ষার্থীদের বেতন না বাড়িয়ে অতিরিক্ত ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের পরেও এক বছরে কলেজের তহবিল বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। নতুন পেস্কেল ঘোষিত হওয়ার পর শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে মাসে ১৫ লাখ টাকা। বাড়তি বেতন, বকেয়া বেতন ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পাওনা পরিশোধে অতিরিক্ত ওই ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সভা শেষে কলেজে যোগদান করা নতুন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।