বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা সৌমিত্র কুমার দাস, আহমেদ জীবন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা রফিকুল ইসলাম সুজনসহ আশুলিয়ায় গার্মেন্টস আন্দোলনে গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ন্যূনতম মজুরী পুনঃনির্ধারনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এর উদ্যোগে আজ বেলা ১১ট থেকে ১২টা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, গার্মেন্টস শ্রমিক নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অঞ্জন দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক রবিউল, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ণ কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির নেতা মমিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অশুলিয়ার শ্রমিকরা বর্তমান বাজার দরের বিবেচনায় ন্যূনতম মজুরী ন্যায়সংগত ভাবেই ১৫০০০ টাকা নির্ধারনের দাবি করেছে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ কোন রকম আলোচনায় না গিয়ে বেআইনীভাবে ৫৯টি কারখানা বন্ধ করে দেয় এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সাভার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি সৌমিত্র কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদ আহমেদ জীবন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন নেতা রফিকুল ইসলাম সুজনসহ ২৭জন নেতাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হয়। দমন পীড়ন করে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সহ¯্রাধিক শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জে গাবতলী টাগারপাড় এলাকায় কটন পাওয়ার এক্সেল নীট লিঃ এর শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয় নাই। শ্রমিকরা বেতনের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কিন্তু বিকেএমইএ, শিল্প পুলিশ, শ্রম দপ্তর কেউই শ্রমিকদের টাকা আদায়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং শ্রমিক নেতাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ওপেক্স গ্রুপের ৩ জন শ্রমিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দমন-পীড়ন করে শ্রমিককে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে সৌমিত্র কুমার দাসসহ সকল নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। ন্যূনতম মজুরী পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য মালিক প্রশাসন দায়ী থাকবে বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে দেন।