বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা। চাচা আওয়ামী লীগ নেতা হলেও শাওন যুবদলের রাজনীতিতে বিগত কয়েক বছর ধরেই সক্রিয়৷ মূলত কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের নেতৃত্বে রাজনীতি করতেন তিনি। ফতুল্লা, বক্তাবলী অঞ্চলে যুবদলের রাজনীতির পরিচিত মুখ শাওনকে নিজেদের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেই দাবি করছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
শাওন নিহতের ঘটনায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী বলেন, শাওন আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তবে সে বিএনপি করতো কি না তা আমার জানা নাই।
১ সেপ্টেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেল গেট এলাকাতে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সকাল থেকেই তাকে বিএনপির মিছিলে দেখা গেছে। সে মূলত যুবদল নেতা সাদেকুর রহমানের সঙ্গেই ছিল।
তবে সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, শাওন এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা। তিনি পথচারী ছিলেন কিনা সেটি তদন্তাধীন। যে ছেলেটি মারা গেছে, সে একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাতিজা। নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী, না পথচারী সেটি এখনও তদন্তাধীন। আমি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বােষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপিসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল বের করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন তারা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সংঘর্ষে শাওন নিহত হন।