স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁওয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শনিবার সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই আওয়ামী লীগের কর্মী।
ফলে চতুর্থ দফা নির্বাচনে অন্তত ৮জন নিহত এবং গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ নিয়ে চার দফার নির্বাচনে প্রায় ৮০ জন লোক নিহত হয়েছে। নিহতদের অর্ধেকের বেশি আওয়ামী লীগের কর্মী।
গাইবান্ধায় নির্বাচনী সহিংসতায় মোস্তাক নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নওশা ও তার কর্মী-সমর্থকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। মোস্তাক (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শনিবার দিনগত রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর রাত পৌনে ১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
লেবু মন্ডল রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জামদানী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মন্ডলের ছেলে। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট শাখার অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, রাতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বন্দরের ফাইভ স্টার মোড় এলাকায় ওই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি।
খবর পেয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু রায়হান দোলনের নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি পাল্টা টিয়ারশেল ছুড়লে মহাসড়কের ওপর আহত অবস্থায় লেবু মন্ডলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমে তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে রবিবার ঠাকুরগাঁওয়ের পারিয়ায় নাজিমউদ্দিন নামে আরো একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিভাবে বিস্তারিত জানা যায়নি।