স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের তা-বে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে একাত্তরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ওইসব এলাকায় ভোটাররা দুর্বিষহ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়া তো দূরে থাক, তারা প্রাণ নিয়ে এলাকায় থাকতে পারবে কি না, সে আতঙ্কে নিদ্রাহীন প্রহর গুণছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, পুলিশ, বিজিবি, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মিলে প্রথম দু’দফা ভোট ডাকাতির পর তৃতীয় ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপির প্রার্থী, এজেন্ট ও সমর্থকরা যেন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে না যায়, সেজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন।
নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে গেলে ভোটারদের লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে, এ অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হত্যা এবং লাশের সংস্কৃতি আওয়ামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু করছে পুলিশ।’
বেশ কয়েকটি জেলায় শাসকদলের কর্মীরা বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থরা কমিশনকে দস্যুবৃত্তির আস্তানায় পরিণত করেছে, মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘এরা মানুষের ভোটাধিকার লুট করেছে। তারা জনগণের ম্যান্ডেটহীন সরকারি দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করে দস্যুদলের সর্দার ভোটারবিহীন সরকারকে তা উপহার দিচ্ছে।’
নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন আহমদ ও তার কমিশনাররা ইতিহাসে অপরাধী হিসেবেই বিবেচিত হবেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
কুমিল্লা, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়ন, নাটোর সদরের হালসা ইউনিয়ন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা, রাজবাড়ীর পাংশা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে, লক্ষ্মীপুরে, সিরজাগঞ্জ জেলাসহ সারাদেশে শাসকদলের ‘তা-বের চিত্র’ তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফেরদৌস ইসলাম খোকন, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মালেক।