বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দুই দিনের সফরে আগামী ৬ আগস্ট ঢাকা আসছেন জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা। সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে সার্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করবেন।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় সাতজন জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষাপটে জাইকা প্রেসিডেন্ট জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ আসার সিদ্ধান্ত নেন বলে সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে।
সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় জানিয়েছে, জাইকা প্রেসিডেন্ট সফরকালে মূলত জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিনিচি কিতাওকা।
জাপানি নাগরিক ও কূটনীতিকদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করবেন।
বাংলাদেশে নয় শতাধিক জাপানি নাগরিক বসবাস করেন। এরা জাইকার অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পে বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের স্টাফ, স্বেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছেন।
গত বছর অক্টোবরে রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও নিহত হওয়ার পর জাপান সরকার তার নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থানের ওপর কড়া সতর্কতা জারি করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ মেয়াদে অবস্থানকারী প্রায় ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক পর্যায়ক্রমে জাপানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর জাইকার প্রায় ৩০ জন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তা, বিভিন্ন কোম্পানির লোকবল, মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ঈদের ছুটিতে দেশে পাঠানো হয়। তাদের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে জাপানে অবস্থান করতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, জাপানি নাগরিকদের অধিকাংশই ছুটিতে বা ছুটি বাড়িয়ে জাপানে অবস্থান করলেও অল্প কয়েকজন ঢাকায় অফিসভিত্তিক কাজ করছেন। ঢাকায় জাপানি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিস ছাড়া মাঠ পর্যায়ে কোনো জাপানি কর্মী নেই।
আগামী ৬ ও ৭ আগস্ট জাইকার প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের পর ছুটিতে যাওয়া জাপানি কর্মীদের ফেরত আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
গুলশান হামলায় সাতজন জাপানি ছাড়াও নয়জন ইতালির ও একজন ভারতের নাগরিক, দুইজন পুলিশসহ ২২ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। এই ঘটনার পর জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকায় আসেন। তারা বিশেষ বিমানযোগে নিহত জাপানি নাগরিকদের মরদেহ দেশে নিয়ে যান। এরপর জাপানের সাহায্য সংস্থা জাইকার একটি নিরাপত্তা টিমও ঢাকা ঘুরে যায়।