বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের অযোক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
বিকেল ৫ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এসয়ম গনসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এবং প্রতিবেশ আন্দোলনের আহ্বায়ক বিপ্লব খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন জেলার নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, মহানগর কমিটির সম্পাদক পপি রাণী সরকার, ফতুল্লা থানা কমিটির সংগঠক জাহিদ সুজন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আল মামুন, বন্দর থানা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক কাউসার হামিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নেতা মাহমুদ কলি হারুন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেব, জেলার সভাপতি ইলিয়াস জামান, গণসংহতি আন্দোলন ১২ নং ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক মোঃ শাহজালাল খন্দকার, ভোলাইল আঞ্চলিক কমিটির সংগঠক মোঃ শাহবুদ্দীন, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি পঞ্চবটি আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক অভি হাওলাদার সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
তরিকুল সুজন বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা বলে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আমরা দেখছি এই মুহুর্তে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী। প্রায় প্রতিদিনই দাম কমছে। এর মধ্যেই সরকার রাতের আঁধারে তেলের দাম প্রায় ৫১ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। ভোট ডাকাতির সরকার এখন আর কোনভাবেই মানুষের মতামতকে গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না। অথচ আমরা জানি এসকল জিনিসের দাম বৃদ্ধির আগে অবশ্যই গণশুনানির ব্যবস্থা করতে হয়। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি মানে শুধুমাত্র তেলের দাম বাড়াই নয়। এর সাথে সম্পর্কিত সকল কিছুর দাম বেড়ে যাওয়া। আজকে চালের দাম, ডিমের দাম আকাশছোঁয়া! ঢাকা-নাঃগঞ্জ রুটে যে বাস ভাড়া কদিন আগেও ৩৬ টাকা ছিলো, তা আজকে ৫৫ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এসব নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে পরিত্রাণ চায়। আমরাও এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন হটাতে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানাই।
অঞ্জন দাস বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম-খুন-হামলা-মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। একদিকে তারা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গোপনে শায়েস্তা করার জন্য তৈরি করছে রাষ্ট্রীয় টর্চার সেল। সম্প্রতি বিদেশ থেকে পরিচালিত হওয়া সংবাদ সংস্থা নেত্রনিউজে প্রকাশিত ‘আয়নাঘরের বন্দী’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি আপনারা নিশ্চই দেখেছেন। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত হওয়া বাহিনীকে সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে ব্যবহার করছে। আমরা এই প্রতিবেদনটির বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যাখ্যা চাই। এই ফ্যাসিস্ট সরকার সাধারণ জনগণের উপর এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। এই স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান আমরা জানাই।
সমাবেশ পরবর্তীতে একটি মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। সভা শেষে আগামী ২৩ আগষ্ট জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে সকলকে যুক্ত হবার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।