বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদের সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী ডিআইটি মসজিদের খতিব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আব্দুল আওয়ালের এর বক্তব্য বিকৃতি করে অপপ্রচার ও মামলা দায়ের করে হয়রানির প্রতিবাদে এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মাওলানা আব্দুল আওয়াল নিজেই ।
বুধবার ( ১৬ মে ) সকাল এগারোটায় ডিআইটি মসজিদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক সম্মেলনে করেন মাওলানা আব্দুল আওয়াল এই ব্যাখ্যা দেন ।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বীনি ও এসলাহী আলোচনা করে থাকি । বিগত ২৩ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে বন্দর শহীদ মিনার মাঠে প্রদত্ত আমার আংশিক বক্তব্যে এরূপ ছিল, বিশ্বনবী সারওয়ায়ে কায়েমাত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জম্মদিন রাস্তায় মিছিল করা লাগবে কেন । এসব মিছিল পূর্বে ছিলনা । কিছুদিন যাবত বেদাতী লোকেরা জশনে জুলুমের নামে মিছিল বের করে যা তাদের পূর্ব পুরুষরাও করে নাই । তাদের দেখাদেখি অন্য ধর্মের লোকেরাও শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে মিছিল বের করে । এদের কারণে আমরা রাস্তায় বের হতে পারি না । আমার এই বক্তব্য দ্বারা ধর্ম অবমাননা করা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কোনক্রমেই উদ্দেশ্য ছিলনা ।
তিনি আরো বলেন, আমার উক্ত বক্তব্যে কে কেন্দ্র করে কিছু চিহ্নিত মতলব বাজ লোক আমার কথা কম বেশি বিকৃত করে প্রশাসন, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে নানারকম বিষোদগার ও অপপ্রচার চালায় । এবং জেলা ওলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি জাকির হোসেন কাশেমী ও আমার নামে মামলা দায়ের করে ।
তিনি আরো বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মে শুক্রবার ডিআইটি মসজিদে জুম্মার নামাজের পূর্বে আমার মুসল্লিদের বিষয়টি অবহিত করা জরুরি মনে করি । আমি এক পর্যায়ে বলেছিলাম কিছু কিছু সাংবাদিক টাকার বিনিময়ে মিথ্যা কথা লিখে এবং কিছু আইনজীবী বুদ্ধি বিক্রি করে মিথ্যা মামলা করার পরামর্শ দেয় । তা না হলে এমন একটি মিথ্যা মামলার পক্ষে ১৫/২০ জন উকিল পক্ষাবলম্বন করে কিভাবে । আমার এই বক্তব্য দ্বারা সাংবাদিক ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বলার প্রশ্নই আসে না বরং হলুদ সাংবাদিকতা ও হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার পরামর্শ দাতাদের বিরুদ্ধে বলা উদ্দেশ্য ছিলো ।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ওলামা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন । কোন রাজনীতি, নির্বাচন বা কোন সংঘাতের সাথে ওলামা পরিষদ জড়িত নয় । পূর্বেও ছিলনা আগামীতেও কখনো কোন রাজনীতি, নির্বাচন ও সংঘাতের ধারে থাকবে ইনশাল্লাহ ।
উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফেরদাউস রহমান, মাওলানা আব্দুল কাদির, মাওলানা দ্বীন ইসলাম প্রমুখ ।