নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটির পরবর্তী জেরার তারিখ ১৪ মার্চ নির্ধারণ করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ৭ খুনের পৃথক দুটি মামলার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জন হত্যা মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটির দায়ের করা মামলার দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা গ্রহণ করার দিন ছিল আজ। কিন্তু আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেরার কার্যক্রম স্থগিত রেখে পরবর্তী জেরার তারিখ ১৪ মার্চ নির্ধারণ করেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি (পিপি) অ্যাড. এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আসামী তারেক সাঈদের পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিভিশন মামলা রয়েছে স্কোয়াশ করার জন্য। এবিষয়ে তারা আদালতে সময় প্রার্থনা করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ১৪ মার্চ জেরার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তারেক সাঈদের দায়ের করা রিভিশন মামলার বিষয়ে বিব্রত বোধ করে প্রদান বিচারপতির কাছে নথি প্রেরণ করেন। এদিকে গত ৩ মার্চ মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটির সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। একই দিন মামলার ৩৫জন আসামীর মধ্যে ৩২ জন আসামীর আইনজীবিরা বাদিকে জেরা করেন।
এদিকে গত ৮ ফেব্রুয়ারী আলোচিত ৭ খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে আসামী করে অভিযোগ গঠন করে ২৫ ফেব্রুয়ারী সাক্ষ্য গ্রহন শুরু করে আদালত। কিন্তুু র্যাবের -১১ এর সাবেক সিও তারেক সাঈদকে আদালতে হাজির না করায় ২৫ ফেব্রুয়ারী স্বাক্ষ্য গ্রহন হয়নি। পরবর্তিতে আদালত ২৯ ফেব্রুয়ারী ৭ হত্যার বিষয়ে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদি সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকাররের মেয়ের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্য গ্রহন করেন। পরবর্তিতে ৭ মার্চ বিজয় কুমার পালের সাক্ষ্য গ্রহন শেষ হয়। আপরদিকে ৩ মার্চ সেলিনা ইসলাম বিউটির প্রথম দিন সাক্ষ্য গ্রহন করার পর আজ বৃহস্পতিবার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫ জন হত্যা মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটির জেরা গ্রহণের দিন নির্ধারন করা থাকলেও জেরা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম সহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একটি মোট ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল মামলার নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।