নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জে পুণরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে জেলা জাতীয় পার্টি। নিজেদের অভ্যন্তরিত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টিকে একটি শাক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় করেছেন জেলা জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৪ মে জাতীয় পার্টির মহা সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টি জানান দিবে নাসিম ওসমানের জাতীয় পার্টি অন্য যে কোন দলের চেয়ে শক্তি।
মঙ্গলবার ৯ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের একটি ভবনে নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, সোনারগাঁও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘণ্টার মত বিনিময় সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা এ প্রত্যয় করেন।
আগামী ১৪ মে ঢাকায় জাতীয় পার্টির মহা সম্মেলনকে সফল করতে ও বন্দর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে মত বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহেরের সভাপতিত্বে ওই মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
মত বিনিময় সভায় সেলিম ওসমান বলেন, আজকে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে মেরুদন্ড শক্ত করে দাড়াতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদেরই এ দায়িত্ব নিতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। আবার এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে নাসিম ওসমান মুজিব কোর্ট পড়ে জয় বাংলা স্লোগানেই জাতীয় পার্টিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের জন্য অত্যন্ত গর্ভের বিষয়। নাসিম ওসমান যেভাবে জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন আজকে জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দরা সেভাবেই জাতীয় পার্টির দায়িত্ব গ্রহন করেছে। নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টি আবারও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াবে। যেমনটা নাসিম ওসমান রেখে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। নাসিম ওসমানের কর্মীরা লোভ আর প্রতিশোধ নয় জনগনের কল্যানে কাজ করেন। যার প্রতিফলন হিসেবে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে শান্তিরচরে নীটপল্লী যেখানে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়াও লাঙ্গলবন্দ হয়ে উঠবে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র।
শান্তিরচরে নীটপল্লী ও লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগীতা করছেন।
সেলিম ওসমান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার ৩জন সংসদ সদস্য একত্রে বসে পরিকল্পনার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সোনারগাঁও এলাকার উন্নয়ন করে নারায়ণগঞ্জের হারিয়ে যাওয়া পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রথম জায়গাটিই হবে নারায়ণগঞ্জ। ২০২১ সালের মধ্যেই আমরা নারায়ণগঞ্জে একটি বাড়ি একটি খামার বাস্তবায়নে পর্যায়ক্রমে ২০ হাজার নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবো। নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা একজন বেকার থাকবে না।
সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যকার বিভেদে সমাপ্তি ঘটিয়ে বন্দর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে বন্দর ইউনিয়নে এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়নে কামাল হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়নে মাকসুদ হোসেনকে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন।
সভায় ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারপ্রার্থীরা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন খোকার হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সভায় সকল নেতাকর্মী ১৪ মে মহা সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মজিদ খন্দকার, যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, মহানগর শ্রমিক পার্টির আহবায়ক আবুল খায়ের ভূইয়া, জেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক রাজা হোসেন রাজু, মদনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সাধারাণ সম্পাদক মঞ্জু হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবা, মুছাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন, জেলা মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলেয়া বেগম, নারী নেত্রী পলি বেগম প্রমুখ।