বিজয় বার্তা ২৪. কম
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে চারিদিক চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। ইতিমধ্যেই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য এমপি শামীম ওসমান সহ জেলা ও মহানগরের আ’লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তারা যে কোন কিছুর বিনিময়ে আনোয়ার হোসেনকে আ’লীগের মনোনয়ন করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। কিছুদিন পূর্বে আওয়ামীলীগ থেকে আনোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন না দেওয়া হলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের এক সহযোগী অঙ্গসংগঠন । অপরদিকে একই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বর্তমান সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি। সিটি করপোরেশনের প্রথম মহিলা মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জন জরিপে এগিয়ে থাকলেও তিনি যাতে কিছুতেই আওয়ামীলীগের মননয়ন না পান, সে বিষয়েও কাজ করছে আওয়ামীলীগের একাংশ।
গত নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে নির্বাচনের আগমূহুর্ত্বে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ফলে বিএনপির ভোটগুলো পেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বিজয়ী হয়েছিলো। এমনটাই দাবী করেছিলো তখনকার পরাজিত প্রার্থী শামীম ওসমান।
গত নির্বাচনে কোরাবানীর গরুর মত কোরবানী হওয়া তৈমূর আলম খন্দকার এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না বলে আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি আর আগের মত ভুল করবেনা। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে বিএনপি, এমনটাই জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। তাই বিএনপির ভোটগুলো এবার বিএনপির ব্যালটেই থাকছে।
এদিকে আওয়ামীলীগ থেকে যদি আনোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং বর্তমান মেয়র যদি বিদ্রোহীপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন তাহলে সবচেয়ে বিএনপির প্রার্থীই লাভবান হবেন বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকদের মতে, নাসিক নির্বাচনে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে আওয়ামীলীগের ভোট দু’ভাগে বিভক্ত হবে। যদি নির্বাচনে কোন কারচুপি বা ভোট জালিয়াতির মত ঘটনা না ঘটে তবে, এর এক ভাগ আনোয়ার ও আরেক ভাগ আইভি হতে পারে। কিন্তু এতে বিএনপির ভোট কোন ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং এবারের নাসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। বিশ্লেষনরা আরো বলেন, আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধার করা যদি যোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থীতা দিতে ভুল করে তাহলে নাসিক নির্বাচনে আ্ওয়ামীলীগ একুলও হারাবে ঐকুলও হারাবে। তাদের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকবে আর এ সুযোগে বিজয়ী হয়ে ঘরে ফিরবে বিএনপি।