বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আজ ২৩ শে ফেব্রুয়ারি মশাল মিছিল আয়োজন করে। সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
মশাল মিছিলটি জেলা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বি বি রোড প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে বিক্ষোভ এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা সৃজয় সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, অর্থ সম্পাদক শাহিন মৃধাসহ জেলা এবং শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কলেজ কমিটির আহ্বায়ক মৌমিতা নূর, সদস্য সচিব আবিদ রহমান, ভোলাইল শাখার আহ্বায়ক মাহাদি হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্নীল শোভন, তোলারাম কলেজের সংগঠক রাইসা ইসলাম, মুন্নি আক্তার প্রত্যাশাসহ অন্যান্য কর্মী ও সংগঠকবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে ২১টিরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের ছাত্র সমাজ ২৪-এর অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিলাম। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ার, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল নাগরিক নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি দেখছি। এই সুযোগ নিয়ে দেশে গুম, খুন, হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনা অহরহ ঘটছে।”
আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা, জীবনমান নিশ্চিত করা। একটি নারী কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কাজ হবে বাংলাদেশের নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে নারীদের অধিকার, অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নয়তো কমিশন তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে। সকল মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশে বিচারহীতনতার সংস্কৃতি ভেঙে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্ত নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে।’
ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর চলতে পারে না। আমাদের স্পষ্ট কথা—নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রতিশ্রুতি নয়, চাই কার্যকর ব্যবস্থা। যদি বাংলাদেশে এই অবস্থা চলতে থাকে, তবে ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
সর্বোপরি, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ধর্ষকদের শাস্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।