বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়ার সাথে তার অফিস কক্ষে ভর্তি ও বেতন ফি জঠিলতা নিয়ে বাকবিতন্ড হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক আইন কলেজের এক ছাত্র জানান, আমরা ২০১৪ – ১৫ সালের এলএলবি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন আমরা দুই বছরের জন্য বেতন সহ ১২০০০ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমাদের কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মাননীয় সাংসদ শামীম ওসমান ফরাম ফিলামের ফি ৮৫০০ টাকার স্থলে ২৯ শত টাকায় করে দেয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এড. সাখোয়াত হোসেন ভূঁইয়া পুনরায় ভর্তি হওয়ায় জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করে আমাদের নানান ভাবে হয়রানি করছে। এই বিষয়ে আমরা আইন কলেজের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে বাকবিতন্ডতার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে আমরা নির্ধারিত ভর্তি ফি এর বেশী নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দিলে তিনি আমাদের কয়েকজন ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি ফি দিতে হবে না বলে আশ্বাস দেন এবং আন্দোলনে না যেতে বলেন। কিন্তু শুধু আমাদের টা পুনরায় ভর্তি ফি বাদ দিলে চলবে না আমাদের দাবি পুনরায় ভর্তি ফি ছাড়াই সকল ছাত্রছাত্রীর যাতে ভর্তি হতে পারে । এসময় তারা পুনরায় ভর্তি ফি ছাড়া ভর্তি না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষনা দেন এবং সেই সাথে বিষয়টি সমাধানের জন্য এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপর কামনা করেন নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ২০১৪-২০১৫ সালের ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
এই নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এড. সাখোয়াত হোসেন ভূঁইয়া সাথে তার অফিসে দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ। নারায়ণগঞ্জের আইন কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করে বহু শিক্ষার্থী এখন নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। কেউ হয়েছে এডভোকেট বা ব্যারিস্টার । কিন্তু এই সুনাম ধন্য নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজটির শিক্ষার্থীরা এখন অধ্যক্ষ শাখাওয়াত হোসেন ভূইয়া সহ কয়েকজনের কারনে শিক্ষা ও বেতন জঠিলতায় সমূখিন হতে হচ্ছে। যা কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে পারে।