বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রাজধানীর মাতুয়াইলের শিশু মাতৃস্বাস্থ্য ইনিস্টিউট’র সহকারী অধ্যাপক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিদান চন্দ্র পোদ্দারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরেক চিকিৎসকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী চিকিৎসক।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিনেটের নির্বাচনী প্রচারণায় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সামনেই স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান পোদ্দারের ওপর অতর্কিত হামলার চালিয়েছে ডা. আতিকুজ্জামান সোহেল ও তার অনুসারী বেশ কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় চিকিৎসকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নারায়ণগঞ্জের জেলা গন্থাগারে এক অনুষ্ঠানে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মহানগর আওয়ামী স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ডা. আতিকুজ্জান সোহেল ও তার চেম্বার সহযোগী মো. রিপন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনকে।
মামলায় বিদান চন্দ্র পোদ্দার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের পোস্ট গ্রেজুয়েট রেজিস্ট্রারদের নির্বাচনের প্রচারণা অনুষ্ঠিত চলছিলো বুধবার। সে অনুষ্ঠানে আসেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। ঘটনার সময় হলো কেন্দ্রীয় নেতারা গাড়ি থেকে নামার সময় ডান পাশে থাকা অবস্থায় ওই সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার চিকিৎসক বিদান চন্দ্র পোদ্দার বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ২০১৮ সালের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডাক্তার আতিকুজ্জান সোহেল ও তার সহযোগীরা আমাকে মারধর করেছে। স্বাচিবের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এর জেরেই তারা হামলা চালিয়েছে। তারা আমার কানে, বুকে সহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। তারপর সদর মডেল থানায় চিকিৎসক সোহেলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে চিকিৎসক বিধান বলেন, প্রকাশ্যে একজন চিকিৎসকে পেটানো হল। যারা হামলা চালিয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আতিকুজ্জামান সোহেলকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেননি এবং পরে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় বেশ কিছু চিকিৎসক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকা সিনেটের নির্বাচনের প্রচারকল্পে প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জের গন গ্রন্থাগারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় অনুষ্ঠান বানচালের নীল নকশার অংশ হিসেবে জেলা স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান পোদ্দারকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন ও অন্যদের সামনে আক্রমন করে জখম করে। ফলে দোষীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’
এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, হামলার শিকার স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান পোদ্দার বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫-৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।