বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বৃটিশবিরোধী আন্দেলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও এদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ কমরেড সুনীল রায়ের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার। সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর শ্মশানে তার স্মৃতিফলকে সমবেতন হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, শ্রমিক সংগঠন ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কেন্দ্রিয় কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি, নারায়ণগঞ্জ শহর কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন গেরিলা বাহিনী, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন। পুষ্পমাল্য অর্পন শেষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য কমরেড মন্টু ঘোষ, খেলাঘর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক কমরেড নিখিল দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আব্দুল মালেক ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল কান্তি দাস।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সুনীল রায় খুব ছোট বেলায় শ্রমিক আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। একই সাথে তিনি বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। বৃটিশ আমল ও পাকিস্তান আমলের দীর্ঘ অনেক বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন একজন অন্যতম সংগঠক। তার হাত ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার শত শত যুবক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন চিরকুমার ও আজীবন বিপ্লবী। ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরে তিনি যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রিয় প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার হাত ধরে অনেকেই বিপ্লবী রাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি আমাদের কাছে এক অনুপ্রেরণা। তার বিপ্লবী জীবন থেকে এ দেশের বাম ও প্রগতিশীল কর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে।