স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করতেন কিনা তা দেখা প্রয়োজন।
এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে বিবিসিকে তিনি বলেন, কেন এটা হয়েছে, কি হয়েছে, এখনই তা বলতে পারবো না। আগে জেনে নেই। তবে একই সাথে মন্ত্রী বলেন, ব্লগে আপত্তিজনক লেখা লিখেছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন আছে।
আপত্তিকর লেখা লিখলেই কি হত্যা গ্রহণযোগ্য হতে পারে? এই প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি সে কথা বলতে চাইনি… আগের যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে তাদের ব্লগ যদি দেখেন, এভাবে মানুষের ধর্মে আঘাত দেওয়া, বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া, পৃথিবীর কোনো দেশেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বুধবারের এই হত্যাকাণ্ডের পর আবারো নতুন করে অনেকেই বলছেন, এর আগের ব্লগার হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার ঠিকঠাক মত হচ্ছে না বলেই এই পরিণতি।
এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের সবগুলো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়ে গেছে এবং প্রধান হোতাদের হয় ধরা হয়েছে, না হয় চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে লেখালেখির কারণেই নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করা হয়েছে কিনা – সরকার এখনো তা বলতে চাইছে না।
ঢাকার যে এলাকায় নাজিমুদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে, সেই সূত্রাপুর থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা বিবিসিকে বলেন, নিহত নাজিমুদ্দিন অনলাইন আ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন কিনা, এরকম তথ্য এখনও তাদের কাছে নেই।
তবে সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিবিসিকে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড আবারো প্রমাণ করে দেশে উগ্রপন্থিরা তৎপর এবং তারা ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের নিশ্চিহ্ণ করতে চায়।
ব্লগার হত্যাকান্ডের বিচারে সরকার গাফিলতি করছে কিনা–এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গী হামলার দায়ে ৭৫ জন মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে রয়েছে।