নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের ভাষা সৈনিক ও রত্নগর্ভা মা নাগিনা জোহার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় অবস্থিত উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেডের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১২ মার্চ) বাদ মাগরিব উইজডম অ্যাটায়ার্স ছুটির পর পর কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে কারখানার ভেতরে নাগিনা জোহার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়ায় অংশ গ্রহন করেন।
উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড এর মালিক নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আর নাগিনা জোহা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মা। এছাড়ার তিনি গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য স্বাধীনতার পুরস্কার প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার সহ ধর্মিনী ছিলেন।
প্রসঙ্গত নাগিনা জোহা বাধ্যর্ক জনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৭ মার্চ দুপুরে শেষ নিশ্বা:স ত্যাগ করেন। বিকেলে খানপুরে তার নামাজের জানাজা শেষে মাসদাইর কবরস্থানে বড় ছেলে প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের কবরে পাশে শায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন। নাগিনা জোহা ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের অধীনে মেট্টিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহেব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।