বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে নব্য জেএমবি তামিম-সারোয়ার গ্রুপের আরও দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানা এলাকার আব্দুর রহমান সোহেল (২৫) ও একই জেলার দাউদকান্দি থানার মো. ফয়সাল আহমেদ (৪৪)।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাকিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানাগেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে ১৮ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, এর আগে গত ৬ ও ৭ এপ্রিল র্যাবের অভিযানে সাইনবোর্ড ও কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (সারোয়ার-তামিম) গ্রুপের ৮ সদস্যকে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদীসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক নব্য জেএমবির এই ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত ও এজাহার নামীয় আসামী আব্দুর রহমান ওরফে সোহেল (২৫) বিগত ৪ বছর ধরে গৌরীপুরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করে। সে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত জেএমবির সক্রিয় সদস্য ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী এর মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে সে জেএমবির (তামিম-সারোয়ার) গ্রুপের একাধিক সদস্যের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং নারায়ণগঞ্জের একাধিক স্থানে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছে।
ইতিপূর্বে তারা একাধিকবার ঢাকার শনির আখড়ায় জনৈক এক ব্যক্তির বাসায় সাংগঠনিক কাঠামো বর্ধিত করণ, নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করার নিয়ম ও পদ্ধতি এবং নাশকতা পরিচালনার ব্যাপারে বৈঠক করেছে। বিগত অভিযানে জব্দকৃত বিস্ফোরক সরবরাহের সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে বলেও সে স্বীকার করেছে। এছাড়াও সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জেএমবির নারী সদস্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছিল।
অার গ্রেফতারকৃত আরেকজন ফয়সাল আহমেদ ১৯৯৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে কুয়েতে চলে যায়। ১৯৯৪ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কুয়েতে কাজ করে বাংলাদেশে চলে আসে এবং ফ্লেক্সিলোড এর ব্যবসা শুরু করে। ২০১৬ সালে ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত জেএমবি (তামিম-সারোয়ার) গ্রুপের জামাল ওরফে রাসেল জিহাদীর মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে। ফয়সাল দীর্ঘ সময় কুয়েতে বসবাস করার কারণে আরবী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করে। সে ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত আরবী ভাষায় বিভিন্ন উগ্রবাদী তথ্যচিত্র বাংলায় অনুবাদ করত এবং সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তা সরবরাহ করত। সে সংগঠনের জন্য অর্থের যোগান দিত।