নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ মৎসজীবী দলের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে বুধবার বিকেল ৪ টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত করা হয়।
বাংলাদেশ মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদি বলেছেন, গণতন্ত্রের নামে জনগণকে অস্থিতিশীলতার মধ্যে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। আপনারাও টিকে থাকতে পারবেন না। ১৯৭১ সালে আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র শুরু করেছিল। আজ আপনি সেই গণতন্ত্রকে বাকতন্ত্র হিসেবে রুপান্তরিত করতে চান। আপনি বলেছেন জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ধ্বংসের রাজনীতি চলছে। কিন্তু আপনি তাদের বিতাড়িত না করে আপনি নিজেই ধ্বংসের রাজনীতি শুরু করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে প্রশাসন ছাড়া আপনার পাশে কেউ নেই।
আলোচনা সভায় সদর থানা মৎসজীবী দলের সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান জিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন খাঁন ও আরো বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার প্রধান, মহানগর মৎসজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন ও মহানগর যুবদল নেতা আওলাদ হোসেন।
তিনি আরো বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। যার কারনে আপনি দেশে এসে বাংলাদেশ আ’লীগের রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলেন বিধায় আজকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের এখনো অনুমতি দেয়নি। সরকার সন্ত্রাস দমনের নামে বিএনপির উপর অত্যাচারের ষ্টিম রোলার চালাচ্ছে। তারা চাইছে বিএনপি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। কারন তারা বিএনপিকে ভয় পায়।
এছাড়া মহানগর মৎসজীবী দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পারভেজ মল্লিক’র সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নাঃগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহিন আহমেদ, সহ সভাপতি এইচএম হোসাইন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মীর মোঃ রাজীব, রাজু আহমেদ, জনী দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন আহমেদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ প্রধান।
প্রধান বক্তা সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আ’লীগ বিরোধী দলে থাকলে বলে ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য জনগণের রাজনীতি করে। কিন্তু আ’লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বিনা ভোটে অবৈধ ভাবে ১৫৩ জন সদস্যকে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসছে। কোন অনির্বাচিত সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বেশীদিন টিকে থাকতে পারেনা। এ সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যাার কারনে নারায়ণগঞ্জে ৭ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। তারা এখন আইনি লড়াইয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, তার আদর্শে অনুপ্রানিত হয়েই জাতীয়তাবাদি মৎসজীবী দলের একজন কর্মী হিসেবে আমার নেতা জাকির খানের জন্য রাজপথে জীবন দিতেও দ্বিধাবোধ করবোনা। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সময়ে আ’লীগের ক্যাডাররা সন্ত্রাসী কায়দায় এ কার্যালয়ে গুলি চালিয়েছিল এবং ২০০১ সালে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শায়েখ আব্দুর রহমান সহ জঙ্গিনেতাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করেনা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এড. আনোয়ার হোসেন প্রধান, মহানগর মৎসজীবী দলের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম রতন, মহনগর যুবদল নেতা আওলাদ হোসেন, সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন সানু, এড. রাজিব মন্ডল প্রমুখ।