নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় নারায়ণগঞ্জের নলুয়াপাড়া নামাপাড়া এলাকায় ডিশ বাবু’র সন্ত্রাসী মোশারফ-লিটন বাহিনীর হামলায় চার জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, নলুয়া পাড়ার এলাকার মো. ওবায়েদুল্লা’র ছেলে ইব্রাহিম হোসেন বাবু (২৬), ভাতিজা মো.আকাশ (১৫), মো. সাদি (২২) ও তার বোন মিনু বেগম (৩২)। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।
এ ব্যাপারে মো. ওবায়েদুল্লাহ জানান, গত ১৬ তারিখ রাতে আমার ছোট ছেলে মৃদুল পাইকপাড়া নানী বাড়ি থেকে ফেড়ার পথে এক প্রভাবশালী নেতার সন্ত্রাসী বাহিনী মোশারফ, লিটন, শুভ, রতন, আরো নাম না জানা ১০ জন মিলে মারধর করে ও আমার ছেলেকে কুপিয়ে মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে আমি বাদি হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ওই প্রভাবশালী নেতা ও তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় নলুয়াপাড়া নামপাড়া এলাকায় ওই প্রভাবশালী নেতার ৩০/৪০ লোকজন এসে আমার ছেলে বাবু, ভাতিজা আকাশ ও সাদি এবং আমার বোন মিনুকে মারধর করে ও কুপিয়ে জখম করে। এলাকাবাসী তাদের রক্তাত অবস্থায় ভিক্টোরিয়া হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। পরে আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। আমি আমার দুই সন্তান, দুই ভাহিজা ও বোনকে হামলাকারী ওই প্রভাবশালী নেতা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই।
আহত ইব্রাহীম হোসেন বাবু জানান, আমার ছোট ভাই মৃদুলকে রক্তাত জখম করলে আমরা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। আর সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী ডিশ বাবু বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। গত সোমবার রাতে সন্ত্রাসী ডিশ বাবু নিজে আমায় ফোন করে মামলা তুলে নিতে বলে। মামলা তুলে না নিলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। মামলা তুলে না নেওয়ায় আজ নলুয়াপাড়া নামপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী ডিশ বাবুর সন্ত্রাসী মোশরফ-লিটনসহ আরো নাম না জানা ৩০/৪০ বাহিনীর লোক জন আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাকে ও আমার চাচাত দুই ভাইকে এ্যালোপাতারি মারতে থাকে ও কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমার ফুফি মিনু এসে আমাদের বাঁচাতে চেস্টা করলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে আমাদের রক্তাত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এসময় হামলাকারী সন্দেহে সাধন দাস নামে একজনকে হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আহতদের লোকজন মারধর করে।
ডিশ ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবুকে ওবায়েদুল্লাহ’র মোবাইলে ফোনে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য কথা বলতে শুনা গেছে।
ঘটনার তদন্তে আসা এস আই উত্তম সাহা জানান, ঘটনাস্থলে আসছি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
অভিযুক্ত ডিশ ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবুকে এই বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে মঙ্গলবার রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি দুইবার ব্যস্ত পাওয়া যায়।