বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গুলশানের ক্যাফেতে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আট দিন করে পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির রবিবার ওই চারজনকে আদালতে হাজির করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানোর এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান প্রত্যেককে আট দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রণপ কুমার ভক্ত জানান।
শনিবার বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি গিয়াস উদ্দিন আহসানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। আর রাতে ঢাকার পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় আরেক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেকজনকে।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আগে পাঁচ জঙ্গি বসুন্ধরা ও শেওড়াপাড়ার ওই দুই বাসায় আশ্রয় পেয়েছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
গ্রেফতার অন্য তিনজন হলেন- গিয়াস উদ্দিনের ভাগনে আলম চৌধুরী এবং বসুন্ধরার ওই ভবনের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান তুহিন ও শেওড়াপাড়ার ওই বাসার মালিক নুরুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান শনিবার রাতে বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর সড়কের ব্লক ই-এর ৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের এ/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে বালুভর্তি কার্টন এবং জঙ্গিদের কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পাওয়া গেছে। সেখানে গুলশানে হামলাকারীরা মিলিত হয়েছিলেন। আর বালুভর্তি এসব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪৪১/৮ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসাতেও ‘জঙ্গিদের ব্যবহৃত হাতে তৈরি গ্রেনেড, কালো রঙের পোশাক’ পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ না করা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৩ জনকে জিম্মি করে একদল অস্ত্রধারী। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
পরে সেখান থেকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নিহত হন পাঁচ হামলাকারী।
এর আগে রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।